রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল এবার পোশাকে নায়িকাদের নাম ফুটিয়ে হাজির ভাবনা সোনালী আঁশের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই: পাটমন্ত্রী অনিয়ম এড়াতে মোবাইল অ্যাপে চাল বিক্রি ৩০ দিনের মধ্যে শহীদ আনোয়ারা উদ্যান ফেরতের দাবি মাগুরায় রেলপথ শিগগিরই চালু হবে : রেলমন্ত্রী যিনি দেশ বিক্রি করতে চেয়েছিল আপনি তো ওনারই সন্তান হেফাজত নেতা মামুনুল হক ডিবিতে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত: আইজিপি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে স্কুলসামগ্রী বিতরণ শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ: ইসি হাবিব ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজের চুক্তি স্বাক্ষর ইসলামী ব্যাংকের মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু ডেপুটি গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংকে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশে বাধা নেই বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে ভারত ভ্রমণে তিনদিনের নিষেধাজ্ঞা ঢাবিতে বিষমুক্ত ফল নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন গোপালগঞ্জের সেপটিক ট্যাংকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ২ শ্রমিক নিহত দিল্লির তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে ভোট বর্জনই বিএনপির আন্দোলন: এ্যানি আফগানিস্তানে বন্যায় ৫০ জনের মৃত্যু

৪০০০০ টাকায় ধর্ষণের ফয়সালা, অর্ধেক মাতব্বরদের পকেটে

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৯
  • ৬০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ৩য় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি স্থানীয় মাতাব্বরা ৪০ হাজার টাকায় ফয়সালা করে দিয়েছে। তবে ফয়সালার পুরো টাকা দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিত শিশুর বাবা।

ধর্ষণের শিকার ছাত্রী উপজেলার এলেঙ্গাতে অবস্থিত একটি মাদ্রাসায় ৩য় শ্রেণীতে পড়ে। তার বাবা ওই এলাকাতেই বাসা ভাড়া করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তারা শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বাসিন্দা।

অভিযুক্ত ধর্ষক আনোয়ার হোসেন এলেঙ্গা হাই স্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র ও নেত্রকোনা জেলার মদনপুর ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামের মাহবুব আলমের ছেলে। তারা দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার এলেঙ্গা পৌর এলাকার সেমকো সিএনজি পাম্পের পূর্বপাশে বাসা ভাড়া নিয়ে হোটেল ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।

এ বিষয়ে ছাত্রীটির বাবা বলেন, আমি এলেঙ্গাতে বাসা ভাড়া নিয়ে একটি সেলুন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি।

নির্যাতিত ছাত্রীর বাবা আরও জানায়, আমি থানায় মামলা করতে যাবো শুনে ধর্ষকের বাবা ও বড় ভাই স্থানীয় মাতাব্বরদের বিষয়টি জানান। পরে তারা আমাকে মিমাংসায় বসতে বাধ্য করে। শালিসে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে আমাকে ২০ হাজার টাকা দিতে গেলে নিতে অস্বীকৃতি জানাই। পরে তারা আমার স্ত্রীর কাছে টাকাগুলো দিয়ে যায়। বাকি ২০ হাজার টাকা মাতাব্বররা নিয়ে যায়। আমাকে বারবার শালিসের কাগজে স্বাক্ষর দিতে বললেও আমি কোন স্বাক্ষর দেইনি।

মশাজান গ্রামের স্থানীয় মাতব্বর আবদুল জলিল মিমাংসার বিষয়টি শিকার করে জানান, ছেলে মেয়ে নাবালক হওয়ায় জালাল হাজী, নবাব আলী, দেলোয়ার হোসেন, মোহনসহ ১০-১২ জন মিলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করি। এ সময় ছেলে পক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিতে পারবে না জানালে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে মেয়ের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন,  মেয়ের পরিবারকে ৪০ হাজার টাকা-ই দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ধর্ষক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমার বাবা ও বড় ভাই মাতব্বরদের নিয়ে মিমাংসা করে দিয়েছে। এ বিষয়ে আমি আর কিছুই জানি না।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আনোয়ারের বাবা মাহবুব হোসেন বলেন, ছোট একটি বিষয় নিয়ে স্থানীয় মাতাব্বরা আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা নিয়ে মিমাংসা করে দিয়েছে।

এ বিষয়ে এলেঙ্গা পৌর সভার মেয়র নুর-এ-আলম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ আমার কাছে কোন অভিযোগ করেনি। যদি কেউ কোন অভিযোগ নিয়ে আসে বিষয়টি আমি দেখবো। কালিহাতী থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এস.এ.বি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com