রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কুড়িগ্রাম বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি আঙুলের ছাপের সমস্যায় ৫ লাখের বেশি এনআইডি মাঠে আলোর স্বল্পতা, দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু হতেও দেরি কারামুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীরা অপরাধ করলেই ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটি বিলুপ্ত বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা টাঙ্গাইলে যুবকের হাত-পা ভাঙা মরদেহ উদ্ধার পাকিস্তানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৬, আহত ৮ সাত ম্যাচ পর হারের মুখ দেখলো বার্সেলোনা লেবাননে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের যে বার্তা দিলেন রাষ্ট্রদূত ময়মনসিংহে ফের ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন ৪ ও কাউন্সিলর মানিক ৫ দিনের রিমান্ডে লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ সুনামগঞ্জে পৃথক বজ্রপাতে ৩ জেলের মৃত্যু ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মামলা ও গণতদন্ত কমিশন গঠন করা হবে : হাসনাত তিস্তার পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি ৩ হাজার মানুষ ভয়াবহ বন্যায় নেপালে নিহত শতাধিক মিয়ানমারে যাচ্ছেন ১২৩ বিজিপি-সেনা, ফিরছেন ৮৫ বাংলাদেশি সালমান-আনিসুল-নুর আরও এক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার কারাগারে মাহমুদুর রহমান

২১ বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে সেতু

ফেনী প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৩
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

প্রায় ২১ বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার কাজিরহাটে ছোট ফেনী নদীর ওপর নির্মিত রেগুলেটর সেতু। ২০০২ সালে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়া সেতুটি সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নদীর দুই পাড়ের লাখো মানুষ।

ফেনীর সোনাগাজী ও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মানুষের যোগাযোগের সংযোগ মাধ্যম ছিল কাজিরহাটের সেতুটি। দুই পাড়ের বাসিন্দাদের দাবি, রেগুলেটর সেতু সংস্কার সম্ভব না হলে নদীতে নতুন একটি সেতু নির্মাণ করা হোক।

স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে নদী তীরবর্তী দুই লাখ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ২-৩টি নৌকা। ২০০ মিটার এই নদীপথে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় শিক্ষার্থী, কর্মজীবী ও ব্যবসায়ীসহ হাজারো মানুষকে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৯৬১-৬২ সালে ছোট ফেনী নদীর ওপর কাজিরহাট নামক স্থানে ২০ গেইট বিশিষ্ট একটি রেগুলেটর সেতু নির্মাণ করা হয়। ওয়াপদা কর্তৃপক্ষ রেগুলেটর সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও রং করাসহ প্রতিবছর মেরামতের জন্য ১০ লাখ টাকার তহবিল প্রদান করত। নির্মাণের পর থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত এই টাকায় রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হলেও স্বাধীনতার পর ওয়াপদা বাদ দিয়ে এই মন্ত্রণালয়কে পানি উন্নয়ন বোর্ড করা হয়। তখন মেরামতের টাকা অর্ধেকে নেমে আসে।

রক্ষণাবেক্ষণের তহবিল থেকে আসা এই টাকায় মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে নামে হয়েছে হরিলুট। ফলে, যথাযথ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ না করার কারণে ২০০২ সালে রেগুলেটরটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, রেগুলেটরের একপাশে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মৌলভী বাজার, কদমতলা বাজার, চরহাজারী বাজার, বসুরহাট বাজার, চৌধুরী হাটবাজার। অন্যপাশে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার কেরামতিয়া বাজার, কাজীরহাট বাজার, লিঙার বাজার, জমদ্দার বাজার, চান মিয়ার বাজার, ধনিপাড়া বাজার, ইতালি মার্কেট বাজার ও ওলামা বাজার। একমাত্র সংযোগ সেতুটি সংস্কার না হওয়ায় ওই অঞ্চলের মানুষ নিরুপায় হয়ে কষ্ট করে নৌকায় যাতায়াত করছে।

আবদুর রহমান নামের এক মাদ্রাসাছাত্র জানায়, প্রতিদিন নৌকায় পার হতে ২০-৩০ টাকা খরচ হয়। ঝড়-বৃষ্টি হলে অনেক সময় মাদ্রাসায় যাওয়া যায় না।

সোনাগাজীর চরদরবেশ ইউনিয়নের বাসিন্দা মাইন উদ্দিন লিটন বলেন, রেগুলেটর সেতু থাকাকালীন এটির ওপর দিয়ে ছোট যানবাহন চলাচল করত। পরবর্তী দুই দশক ধরে নদী পারাপারে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন দুই পারের মানুষ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখেনি। বিগত জাতীয় নির্বাচনের সময় দুই উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করলেও কাজিরহাটের ওই স্থানে সেতু নির্মাণ করা হয়নি।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরপার্বতী গ্রামের বাসিন্দা মো. রমিজ মিয়া বলেন, কাজিরহাট এলাকায় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। নৌকায় যাতায়াত করতে গিয়ে প্রতিদিন ১০০ টাকা খরচ হয়। ভোগান্তি কমাতে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য লে. জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দুই দশক ধরে সেতু নেই, সেতু নির্মাণে জনগণের দাবি তো অবশ্যই থাকবে। এ বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। জনগণের দীর্ঘদিনের দাবির বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কেউ কখনো বলেনি। বিষয়টি এখন জেনেছি, সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কাজিরহাট থেকে নোয়াখালী জেলার বসুরহাট সড়কে ছোট ফেনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য ২০২১ সালের জুন মাসে নদীতে সয়েল টেস্ট করা হয়েছিল। কিন্তু এলাকাবাসীরা বলছেন, অজ্ঞাত কারণে সেতু নির্মাণ আলোর মুখ দেখেনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সোনাগাজী উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী (আরসিআইপি) রবিউল আলম জানান, ২ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ করে সয়েল টেস্ট করা হয়েছে। ২০২১ সালের জুন মাসে সার্ভে রিপোর্ট ফেনী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পাঠানো হলেও সেতুর দৈর্ঘ্য নিয়ে জটিলতায় ফাইলটির অগ্রগতি হয়নি।

সোনাগাজী উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল কাদের মোজাহিদ বলেন, নতুন সেতু নির্মাণে দৈর্ঘ্য ৭৫ মিটার পর্যন্ত অনুমোদনের ব্যবস্থা থাকলেও বাস্তবে পরিমাপ করে দেখা যায় সেতু নির্মাণ করতে হবে ১২০ মিটার। অন্যদিকে জিএমপি-৩ এর মেয়াদ আগামী বছরের জুন পর্যন্ত থাকলেও এরমধ্যে নতুন করে কোনো সেতু প্রকল্প নেবে না। সে জন্য কাজিরহাট-বসুরহাট সড়কে সেতু নির্মাণের এ প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সেতু নির্মাণ করতে হলে ১০০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের সেতুর জন্য নতুন করে ভিন্ন কোন প্রকল্পে পদক্ষেপ নিতে হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com