২০২১ সালের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে হাইড্রোজেন চালিত গাড়ি বাংলাদেশে আনা হবে। পর্যায়ক্রমে তার প্রসারতা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আনোয়ার হোসেন।
সোমবার নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি)-এর টেকসই ও নবায়নযোগ্য কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) আয়োজিত ‘প্রোসপেক্ট অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস অব হাইড্রোজেন ফুয়েল ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় স্রেডার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুত্ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আফতাব আলী শেখ। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাইড্রোজেন এনার্জি গবেষণাগার স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ আবদুস সালাম।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র সচিব আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্ব প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে আমরা পিছিয়ে থাকবো কেন? গ্যাস বা কয়লা একদিন ফুরিয়ে যাবে আমাদের বিকল্প চিন্তা ভাবনা করতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়া হাইড্রোজেন জ্বালানিতে অনেক এগিয়ে গেছে। জার্মানিও অনেক এগিয়ে গেছে। সারা পৃথিবী এটা নিয়ে কাজ করছে আমরা পিছিয়ে থাকবো কেন? এক বছরের মধ্যেই হাইড্রোজেন কার আসবে।
ফসিল ফুয়েল অর্থাৎ কয়লা, পেট্রোল, ডিজেল যত বেশি পোড়ানো হয় কার্বন এমিশন ততই বাড়ে। আর এর জন্যই ঘটে জলবায়ুর পরিবর্তন। সামগ্রিকভাবে দেখতে গেলে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রের জলস্তর যেমন বৃদ্ধি পায়। তবে হাইড্রোজেন জ্বালানি পরিবেশ বান্ধব। বায়ু ও পানি থেকে এই জ্বালানি তৈরি করা যায়। যতোদিন হিমালয় পর্বত আছে ততোদিন দেশে পানির অভাব হবে না। হাইড্রোজেন জ্বালানি দিয়ে কিছু গাড়ি ঘোড়া চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
এ সময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও বায়োমাস আছে। পানি ও বায়োমাসকে কাঁচামাল হিসাবে সফল ব্যবহারে অসংখ্য ইউনিট হাইড্রোজেন উত্পাদন সম্ভব। বাংলাদেশে কাঁচামাল হিসাবে এ দুটির সফল ব্যবহারের মাধ্যমে একটি মজবুত জ্বালানি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। নবায়নযোগ্য জ্বালানি (সৌর, উইন্ড ও হাইড্রো) সাধারণত বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় অন্যথায় সম্ভাবনাময় হাইড্রোজেন জ্বালানি হিসাবে দেশকে স্বনিভর্র করতে সক্ষম।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস