সংসদ বহাল রেখে শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। তিনি বলেন, ‘২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন বাংলাদেশে আর হবে না। ইভিএমেও ভোট হবে না। জনগণ তা হতে দেবে না।
সুতরাং সরকারের ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করার কোনো পরিকল্পনা থাকলে তা ভুলে যেতে হবে। সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। ’
আজ বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আমান।
তিনি বলেন, ‘হামলা-মামলা, অত্যাচার-নির্যাতন, গ্রেপ্তার করে বিএনপি ও চলমান আন্দোলনকে দমানো যাবে না। আমরা রাজপথে নেমেছি, এই সরকারকে বিদায় করেই ঘরে ফিরব। ’
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘‘’৫২, ‘৬২, ‘৬৯, ‘৭১ ও ‘৯০-এ ফয়সালা রাজপথে হয়েছে। এবারও রাজপথেই ফয়সালা হবে। প্রয়োজনে দেশে ‘৬৯-এর মতো আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে। ’’
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে নাগরিক মঞ্চের চারটি দলের নেতৃবৃন্দ বিএনপির ক্ষতিগ্রস্ত কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শনে আসেন। নেতারা হলেন-বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামীম, মহাসচিব মো. শওকত হেসেন, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান মুফাসসির অধ্যাপক বাজলুর রহমান আমিনী ও বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুদ হোসেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ