বাংলা৭১নিউজ, টেকনাফ (কক্সবাজার): দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্য ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করবে। কক্সবাজারের টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ও চট্টগ্রামের কুতুবদিয়া দিয়ে এটি অতিক্রম করবে।
আজ সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের পরিচালক সামসুদ্দিন আহমেদ।
সামসুদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মোরা’র প্রভাবে ভোরে টেকনাফে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার, সেন্টমার্টিনে ছিল ১১৪ কিলোমিটার। এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ধীরে ধীরে নিম্নচাপে পরিণত হবে।
এদিকে ভোর পাঁচটা থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন সমুদ্র উপকূলে প্রচণ্ড বেগে বাতাস বইতে শুরু করে। সঙ্গে হালকা বৃষ্টি ছিল। ঝড়ে সেন্টমার্টিনে গাছপালা ও বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক আজ ভোর পাঁচটায় বলেন, ভোর চারটার দিকে ‘মোরা’ টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন এলাকা অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এসব এলাকায় এখন বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। তিনি আরও বলেন, ১৯৯১ ও ১৯৯৪ সালে আঘাত হানা ঝড়ের চেয়ে এবারের ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ কিছুটা বেশি বলে স্থানীয় লোকজন তাঁদের জানাচ্ছেন।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান খান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ভোর চারটার পর থেকে সেন্টমার্টিন লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে। গাছপালা-বাড়িঘর ঝড়ে বিধ্বস্ত হতে শুরু করেছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্র, হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে, তারা সবাই খুবই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তাঁরা বলছেন, এর আগে তাঁরা কখনো এমন ভয়াবহ ঝড় দেখেননি।
শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা মো. আইয়ুব (৪০) বলেন, ‘বাতাসের গতিবেগ খুবই বেশি। এখন ভাটা চলছে। সকাল সাতটার দিকে জোয়ার শুরু হলে আল্লাহই জানেন কী হবে।’
বাংলা৭১নিউজ/এন