বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মো. শফিউল আলম ১৬ কোম্পানীর মালিক। তার কোনো গাড়ি নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ আছে।
অন্যদিকে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য রবিউল আলম রবি শফিউলের তুলনায় কম অর্থবিত্তের মালিক হলেও তার ২৪ লাখ টাকা দামের গাড়ি আছে।
রবিউল আলমের কোনো ঋন নেই, আর শফিউলের ঋণ আছে। রবিউলের নামে ৭১ মামলার আসামি, আর শফিউলের নামে কোনো মামলা নেই।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে প্রার্থীদের জমা দেয়া হলফনামায় দেখা গেছে ১৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় থাকা আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শফিউল ইসলামের বার্ষিক আয় ৩৯ লাখ ৭১ হাজার ৬১২ টাকা। ব্যবসার পরিচালক সম্মানী হিসেবে আয় করেন ২২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। এছাড়া এফডিআর ব্যাংক হিসাবের লভ্যাংশ ও বোর্ড মিটিং ফি হিসেবে বাৎসরিক আয় ১৭ লাখ ১৩ হাজার ৬১২ টাকা।
শফিউলের শিক্ষাগত যোগ্যতা এমকম পাস। তার নামে স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ১৪ কোটি ২৫ লাখ ৬১ হাজার ১৬৪ টাকার। স্ত্রীর নামে রয়েছে ৫৮ লাখ ৯৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদ। স্ত্রীর নামে ২৬ লাখ টাকা দামের টয়োটা গাড়ির কথা উল্লেখ করলেও নিজের নামে কোনো গাড়ি নেই এই প্রার্থীর।
হলফনামার তথ্যানুযায়ী, শফিউল ইসলামের থাকা ১৬টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ওনাস অ্যাপারেলস লিমিটেড, ওনাস গার্মেন্টস লিমিটেড, ওনাস ডিজাইন লিমিটেড, ওনাস কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, ওনাস শিপিং লাইন্স লিমিটেড, মজুমদার শিপিং লিমিটেড, অটোসিরামিক কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড, এ আর স্টাইল লিমিটেড, ওডিসি ড্রেসেস লিমিটেড, প্রিন্টো প্যাক লিমিটেড, প্যাট্রিশিয়ান নিট ওয়্যারস লিমিটেড, সিটাডেল অ্যাপারেলস লিমিটেড, জে বি এস গার্মেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড, অ্যাকোয়া মেরিন ড্রেজিং লিমিটেড, ইয়ংতাই ইন্ডাস্ট্রিজ (বিডি) লিমিটেড এবং পি ওয়াই গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং (বাংলাদেশ) কোম্পানি লিমিটেড। আর রবিউল আলমের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স আর বি এন্টারপ্রাইজ।
আওয়ামী প্রার্থীর ঋণ রয়েছে এক কোটি ৯৫ লাখ ৬৫ হাজার ৯২০ টাকা। তার মধ্যে মো. মাহমুদুর রহমান খানের কাছ থেকে জামানতবিহীন ঋণ এক কোটি ১১ লাখ ১৩ হাজার ৯৬৫ টাকা, এনবিএল সিকিউরিটিস লিমিটেড থেকে ঋণ ৩৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৫৫ টাকা এবং ভেঞ্চার এনার্জি রিসোর্স লিমিটেডের কাছ থেকে জামানবিহীন ঋণ নিয়েছেন ৫০ লাখ টাকা।
অন্যদিকে ধানের শীষের প্রার্থী শেখ রবিউলের পেশা ব্যবসা। তিনি শেয়ার বাজার ও সম্মানী বাবদ বছরে আয় করেন ২৮ লাখ ৫৮ হাজার ৬১২ টাকা। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর পাস। তার নামে কৃষি, অকৃষি জমি, দালানসহ স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ ২৩ হাজার টাকার। স্ত্রীর নামে ১৬ লাখ ৩৬ হাজার ৫৩২ টাকার সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়া ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি গাড়ির কথা উল্লেখ করেছেন।
নিজ নামে ৬১ লাখ ৫৩ হাজার ২৫২ টাকার অস্থাবর সম্পত্তির কথা বলেছেন বিএনপির এ প্রার্থী। পাশাপাশি স্ত্রীর নামে ৩৯ লাখ ৪২ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পত্তির কথা জানিয়েছেন। তবে তিনি ঋণখেলাপি নন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নেয়ায় ঢাকা-১০ আসনটি শূন্য হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সবগুলো ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে ২১ মার্চ।
বাংলা৭১নিউজ/জেআই