বাংলা৭১নিউজ,(হিলি)প্রতিনিধি: ভাইরাস মোকাবেলায় ভারত সরকার টুরিস্ট ভিসা বন্ধের পর যাত্রি পারাপার বন্ধ করে দেওয়ায় আজ শনিবার সকাল থেকে দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে দুদেশের মাঝে যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে গেছে। তবে দুদেশের আটকে পড়া যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। যাত্রী কমায় রাজস্ব আহরন কমেছে তবে বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি স্বাভাবিক রয়েছে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশের ক্ষেত্রে টুরিস্ট ভিসা বন্ধ করার পর গত ১৩ মার্চ থেকে যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার।
এতে করে আজ শনিবার সকাল থেকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে গেছে। তবে ভারতের অভ্যন্তরে আটকে পড়া বাংলাদেশী যাত্রী ও বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয় যাত্রীরা কাজ সংক্ষিপ্ত করে নিজ নিজ দেশে ফিরছেন। এদিকে গতকাল বন্ধ হওয়ার খবরে অনেকেই ভিড়জমান হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে। এইপথ দিয়ে গড়ে প্রতিদিন চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসা, ভ্রমনসহ নানা কাজে ৫শ থেকে ৬শ যাত্রী যাতায়াত করলেও গতকাল ৮শজন যাত্রী পারাপার করেছে। এছাড়াও অনেকে ভারতে প্রবেশের জন্য আসলেও ১৫এপ্রিলের আগে বের হতে পারবেনা ভেবে ফেরত এসেছেন।
এদিকে এমনভাবে যাত্রী পারাপার বন্ধের কারনে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন বিশেষ করে যারা চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের সিরিয়ালসহ ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন। হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট ওসি সেকেন্দার আলী জানান, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে নতুন যাত্রীদের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে, শুধুমাত্র ভারত ও বাংলাদেশে আটকে থাকা যাত্রীরা নিজ নিজ দেশে ফিরছেন। শুধুমাত্রা কুটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্ট যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন। আগামী ১৫এপ্রিল পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। হিলি শুল্কস্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, যাত্রী পারাপার কমে যাওয়ায় রাজস্ব আহরন কমেছে। তবে বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি কার্যক্রম চালু রয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্ধের কোন খবর নেই।
বাংলা৭১নিউজ/এফআর