জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) অগ্নিবীণা হলে সঙ্গীত বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী সাগর চন্দ্র দে’কে র্যাগিংয়ের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস।
রোববার (১৩ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ ভবনের মূল ফটক আটকে অবস্থান করেন সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
আন্দোলনকারীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের ওপর যারা নির্যাতন করে তারা সন্ত্রাসী। বারবার আমাদের প্রশাসন তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে আসছে। আমাদের দাবি, এবার যেন কোনোপ্রকার ছাড় দেওয়া না হয়। আমরা নির্যাতনকারীদের স্থায়ী বহিষ্কার চাই।
আন্দোলন চলাকালে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক তপন কুমার সরকার, অগ্নিবীণা হলের প্রভোস্ট কল্যানাংশু নাহা, সহকারী প্রক্টর ইরফান আজিজ, আসাদুজ্জামান নিউটন ও চন্দন কুমার পাল।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তপন কুমার সরকার বলেন, ‘আমরা তোমাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করছি এবং এ ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। হল প্রশাসন এরই মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিবে।
অগ্নিবীণা হলের প্রভোস্ট বলেন, ‘আমি গতকাল সারাদিন অসুস্থ শিক্ষার্থীর পাশে ছিলাম। তার সিটিস্ক্যান ও এক্সরে রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা আশঙ্কামুক্ত বলে নিশ্চিত করেছেন। আমরা সার্বক্ষণিক তার খোঁজ রাখছি এবং বিষয়টি সমাধানে দ্রুতই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশা রাখি।
এর আগে শনিবার (১২ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হলের ২০৪ নম্বর কক্ষে চারুকলা বিভাগের তিন শিক্ষার্থীর হাতে র্যাগিংয়ের শিকার হন ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থী সাগর চন্দ্র দে। মাথা ও মুখমণ্ডলে গুরুতর আঘাত পেয়ে এখন ময়মনসিংহ মেডিকেলে ভর্তি আছেন তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম