প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, হংকংয়ে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) হংকংয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
কনসাল জেনারেল ইসরাত আরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর কনসাল জেনারেল মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কনস্যুলেটে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এরপর এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
এরপর বিজয় দিবসের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা এরপর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভিত্তিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের শহীদ সদস্যসহ স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী, সাহসী ও ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ছিনিয়ে এনেছে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথ ধরে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত।
কনসাল জেনারেল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে বাংলাদেশ বিগত এক দশকে দ্রুত বর্ধনশীল ১০টি অর্থনীতির একটি দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, যা বর্তমানের ৪১তম অবস্থান থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে ২৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিণত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
শেষে তিনি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্জন এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক সাফল্য উপস্থাপন করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, বৈষম্যহীন এবং শোষণমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে হংকংয়ে অবস্থানরত সব প্রবাসী বাংলাদেশিকে একযোগে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম