গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত পাঁচজনের মধ্যে একই পরিবারের চারজন রয়েছেন। নিহত অন্যজন মাইক্রোবাসের চালক। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের ডোমড়াকান্দি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কাজী আবদুল হামিদের তিন মেয়ে কাজী সালমা আক্তার (৫৮), আসমা বেগম (৫৬), নাসিমা বেগম (৬২), ছেলে হুমায়ুন কাজীর স্ত্রী কোমল বেগম (৭৫) এবং মাইক্রোবাসের চালক আলমগীর।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের ডোমড়াকান্দি এলাকায় ঢাকাগামী গ্লোবাল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ও বরিশালগামী একটি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন।
এসময় কাজী আবদুল হামিদের ছেলে হুমায়ুন কাজী, খায়রুল আলম ও মেয়ে নাজমা বেগম গুরুতর আহত হন। তাদের মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সবুজ দত্ত বলেন, আমার সামনেই এ ঘটনা ঘটেছে। গ্লোবাল পরিবহনের বাসটির সামনের ডান চাকা ফেটে যায়। এ কারণেই মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, মরদেহগুলো উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতদের পরিবারপ্রতি ২৫ হাজার করে অনুদান ও আহতদের চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জোবায়ের হোসেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ