আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা বিবেচনায় দলের সাদামাটা সম্মেলন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনসার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলন অত্যন্ত অর্থবহ হবে। একইসঙ্গে সম্মেলনের মাধমে যে নতুন নেতৃত্ব আসবে সেই নেতৃত্বের অধীনেই জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে চতুর্থবারে মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে তার নেতৃত্বে নতুন স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার থাকবে। ’
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২২তম জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপ-কমিটির পক্ষ থেকে সম্মেলনস্থলে পরিদর্শেনে এসে কমিটির আহ্বায়ক নানক এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল। এই দলটি বলেছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবে। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের পর এবার আসন্ন কাউন্সিল আমাদের বক্তব্য আসছে, নতুন প্রত্যয়বাদ আসছে। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করব। আগামী ২৪ ডিসেম্বর শনিবার জাতীয় কাউন্সিল বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে অত্যন্ত সাদামাটা ও সংক্ষিপ্ত পরিসরে করার জন্য আমাদের নেত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। ’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। প্রায় দীর্ঘ সময় ধরে দুদিনব্যাপী আমাদের কাউন্সিল সম্পন্ন হয়ে আসছিল। কিন্তু এবারে কৃচ্ছ্বতা সাধনের জন্য খরচ কমানোর লক্ষ্যে দুইদিনের জায়গায় একদিন করার নির্দেশনা দিয়েছেন এবং একদিনেই তা সম্পন্ন হবে। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে সামনে ঢাকা শহরসহ সারাদেশ এক নতুন সাজে সজ্জিত করার বিগত দিনে স্বাক্ষ্য রয়েছে।
কিন্তু এবার আমরা ঢাকা মহানগরসহ বাংলাদেশের কোথাও সাজসজ্জার দিকে যাচ্ছি না। কিন্তু সাদামাটা করা হলেও লাখো লাখো আওয়ামী লীগের নেকাকর্মী, কাউন্সিলর, ডেলিগেটরা আসবেন। তাদের উচ্ছ্বাসের কোন ঘাটতি থাকবে না। সকল আনন্দ উচ্ছ্বাস থাকবে এবং শেখ হাসিনসার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিয়ে এবারের কাউন্সিল অত্যন্ত অর্থবহ হবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের কাউন্সিল অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করবে। তাই আমরা কাউন্সিলের সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করছি। ইতোমধ্যে মঞ্চ প্যান্ডেলসহ আনুষাঙ্গিক সকল কিছু তৈরি করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ’ আমরা আশা করি আগামী ২১ ডিসেম্বরে মধ্যে পরিপূর্ণভাবে সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করতে পারবো বলেও জানান তিনি।
কাউন্সিলে বিএনপিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নানক বলেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমাদের জানাটাই স্বাভাবিক বলে মনে হয়। আমরা প্রতিবারেই তাদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকি।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এটা একটা বিশাল মিলনমেলায় পরিণত হবে। এই মিলনমেলায় সারাদেশের তরুণ প্রবীণ নেতাকর্মীরা যারা আওয়ামী লীগের সাথে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সাথে সারাজীবন কাজ করেছে,তাদের এই অংশগ্রহণ একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। আগামী দিনে এগিয়ে যাওয়ার বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় এবং নীতিনির্ধারণীমূলক সিদ্ধান্ত আসবে। যেটা বাংলাদেশের মানুষের কাছে আমাদের কাউন্সিলর. ডেলিগেটসহ নেতাকর্মীরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের পৌছে দিবে। যার মাধ্যমে আমরা আগামী দিনের বাংলাদেশকে একটি আত্মনির্ভরশীল মর্যাদাশীল উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাব।
২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে যে জাতীয় নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে জনগণের সমর্থন আদায়ের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যই হবে এবারের কাউন্সিলের হল মূল প্রত্যয়। এই লক্ষ্য নির্ধারণের জন্যই আগামী ২৪ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, এই সম্মেলন আমাদের একটা বিশাল কর্মযজ্ঞ। যদিও সাদামাটাভাবে এবারের সম্মেলন করার নির্দেশনা রয়েছে। এই সম্মেলনের মাধমে যে নতুন নেতৃত্ব আসবে সেই নেতৃত্বের অধীনেই আগামী ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে মধ্য দিয়ে আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে চতুর্থবারে মতো টানামেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে তার যে নতুন স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তেলার জন্য প্রত্যয় থাকবে।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন দলের আইন সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ