১৫ই আগস্ট ছোট্ট রাসেল বাঁচতে চেয়েছিল, ঘাতকরা তাকেও বাঁচতে দেয়নি। খুনিদের আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর রক্তের কেউ যেন কোনোদিন এ দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে না পারে। আজকে প্রধানমন্ত্রীও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। সেই পরাজিত শক্তি এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
২১ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, যারা এ দেশে ধর্মের নামে রাজনীতি করত। যার যার ধর্ম তার তার কাছে, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করতে হবে কেন?
ইতালির ভিতেরবো আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ভয়াল ২১ আগস্ট স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইতালি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং আয়েবার যুগ্ম মহাসচিব এম এ রব মিন্টু।
তারা বলেন, শেখ হাসিনা হত্যার জন্য ২১ আগস্টসহ ১৯ বার হামলা করা হয়েছে। এই ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, বাঙালি সুখে শান্তিতে থাকবে, এটা যাদের ভালো লাগে না, তারাই ষড়যন্ত্র করছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম বাবু, টাঙ্গাইল জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান সিদ্দিকী, আওয়ামী লীগ নেতা এ আর আহমেদ তপু, রোম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব রহমান, রোম মহানগর আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আবুল কালাম আজাদ আহ্বায়ক ভিতেরবো আওয়ামী লীগ, পরিচালনায় ছিলেন টিপু সুলতান যুগ্ম আহ্বায়ক ভিতেরবো আওয়ামী লীগ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বিজয় মানিক, মো. শাহিন, সজল, খোকন, কাইয়ুম হোসেন, আরিফ হোসেন, লিটল আহমেদ, নিজাম উদ্দিন, আহমেদ সাইফি রাফী, নুরুল হক, শহিদ খান প্রমুখ।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার সমাবেশে অতর্কিতে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। মারা যান আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী। সাংবাদিকেরাও আহত হন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ