রবিবার, ২৬ মে ২০২৪, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১২ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিধসের আশঙ্কা চ্যাম্পিয়ন হয়েই পিএসজি অধ্যায় শেষ এমবাপের গুজরাটে ‌‘গেমিং জোনে’ ভয়াবহ আগুন, শিশুসহ নিহত ২৭ ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’: ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ৩১ বছর পর জার্মান কাপ জিতলো লেভারকুসেন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা, ঘূর্ণিঝড় আইলার মতোই ভয়ঙ্কর রেমাল হোয়াইটওয়াশ এড়ালো বাংলাদেশ মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন উপমন্ত্রী দক্ষ জনশক্তি রপ্তানিতে দেশ ভিত্তিক প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে ‘এ পরিবারে জন্ম হওয়াটাই আমার ভুল হয়েছে’ দেশে ফিরলেন ভারতে পাচার হওয়া ৩ বাংলাদেশি পুলিশের সার্জেন্ট পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি, যুবক গ্রেফতার পৃথিবীর কাছাকাছি ‘বাসযোগ্য’ নতুন গ্রহ আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী নিয়ে প্রচারিত তথ্যচিত্রের প্রতিবাদ আইএসপিআরের ইসরায়েলগামী আরও তিন জাহাজে হুথির হামলা রেকর্ড গড়ে বড় পতনে সোনা উপকূলীয় এলাকায় লঞ্চ চলাচল বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরিচয়ে ফেসবুকে হারবাল পণ্যের রমরমা বাণিজ্য তাপপ্রবাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৪২ ছুঁই ছুঁই

স্টিভেন হকিং দেখিয়েছিলেন শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কোন সমস্যা নয়

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৮
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে
স্টিভেন হকিং: হুইল চেয়ারে বসেই চিন্তার জগতে বিপ্লব এনছেন

বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: স্টিভেন হকিং শুধু পৃথিবী বিখ্যাত বিজ্ঞানীই ছিলেন না। একই সাথে তিনি ছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে সুপরিচিত শারীরিক প্রতিবন্ধী এক ব্যক্তি।
একদিকে তাঁর ছিল অসাধারণ মেধা এবং অন্যদিকে ছিল অচল দেহ।
তাঁর বয়স যখন ২২ বছর তখন তিনি বিরল মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
শরীরের যেসব শীরা মাংসপেশিকে নিয়ন্ত্রণ করে সেগুলো ধীরে-ধীরে অকেজো হয়ে যেতে থাকে।
ফলে তিনি তাঁর নিজের দেহের কাছে বন্দি হয়ে পড়েন।
কিন্তু মি: হকিং-এর চিন্তার জগত ছিল অবারিত। হুইল চেয়ার বসে এবং কৃত্রিম কণ্ঠে কথা বলে মি: হকিং পৌঁছে যান তাঁর চিন্তার সর্বোচ্চ শিখরে।
শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে যে ধারণা প্রচলিত আছে সে বিষয়টি কি মি: হকিং বদলে দিয়েছিলেন?
হেনরি ফ্রেসার নামে একজন লিখেছেন, ” মি: হকিং ছিলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী কিংবা সক্ষম – সবার জন্যই এক সত্যিকারের অনুপ্রেরণা। তিনি ছিলেন এমন অসাধারণ প্রতিভাবান ব্যক্তি যিনি অসাধ্য সাধন করেছেন।”
অধ্যাপক হকিং-এর ছাত্র অধ্যাপক পল শেরার্ড মনে করেন, তিনি অন্য যে কারো চেয়ে বেশি কিছু করে দেখিয়েছেন।
মি: হকিং প্রমাণ করেছেন মানুষের চেষ্টার কোন সীমা-পরিসীমা থাকে না।
মি: হকিং যে কাজ করতে পারবেন বলে মনে করতেন সেটিকে তার তীক্ষ দৃষ্টি থাকতো।
এ কারণেই তিনি সবার কাছে অনুকরণীয় হয়ে উঠেছিলেন বলে উল্লেখ করেন মি: হকিং-এর ছাত্র অধ্যাপক শেরার্ড।
মোটর নিউরন রোগ নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলেছিলেন মি: হকিং।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে যে ধারনা প্রচলিত আছে সেটিকে বদলে দিয়েছে মি: হকিং-এর জীবন।
ডাক্তাররা যা ধারণা করেছিলেন, মি: হকিং তার চেয়ে প্রায় ৫০ বছর বেশি বেঁচে ছিলেন।
সাধারণত মোটর নিউরন রোগে যারা আক্রান্ত হয় তারা দ্রুত মারা যায়।
একজন তাত্ত্বিক পদার্থবিদ হিসেবে মি: হকিং -এর মন ছিল তাঁর গবেষণাগার।
তবে একটা প্রশ্ন থেকে যায়।
অক্সফোর্ড থেকে স্নাতক হওয়ার পর শারীরিক প্রতিবন্ধী না হয়ে মি: হকিং যদি জন্মগত-ভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী হতেন তাহলে কী হতো?
বর্তমানে শারীরিকভাবে যারা প্রতিবন্ধী নয়, তারা যে সংখ্যায় বেকার আছে তার চেয়ে দ্বিগুণ সংখ্যায় বেকার হচ্ছে শারীরিক প্রতিবন্ধীরা।
যারা শারীরিক প্রতিবন্ধী তাদের প্রতি অধ্যাপক হকিং-এর পরামর্শ ছিল – যেটা অর্জন করা যাবে সেটিকেই দৃষ্টি দাও।
নিউইয়র্ক টাইমসের সাথে এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক হকিং বলেছিলেন, “যারা শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী তাদের প্রতি আমার উপদেশ হলো, তুমি এমন কাজের প্রতি দৃষ্টি দাও যেখানে ভালো করতে হলে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কোন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে না। মানসিক দিক থেকে তুমি কখনো প্রতিবন্ধী হবে না।” সূত্র : বিবিসি বাংলা।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com