বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা হত্যা মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হল।
আজ ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবুল কাশেম এ আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। একই সঙ্গে বিচারক আগামী ৮ মে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৪ আগস্ট দুপুরে কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনের ফুটওভারব্রিজে রিশাকে ছুরিকাঘাত করেন ওবায়দুল হক। স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ২৮ আগস্ট সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রিশার মৃত্যু হয়।
এদিকে ২৪ আগস্ট রিশার মা তানিয়া রাজধানীর রমনা থানায় হত্যাচেষ্টা ও গুরুত্বর আঘাতের অভিযোগে একটি মামলা করেন। রিশা নিহত হওয়ার পর এটি হত্যা মামলায় স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনার পর থেকে ওবায়দুল পলাতক ছিলেন। ৩১ আগস্ট নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারগাঁও থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ওবায়দুলের ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডের এক পর্যায়ে ওবায়দুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। প্রেমের প্রস্তাবে রিশা রাজি না হওয়ায় তাকে খুন করে বলে ওবায়দুল স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করেন।
এরপর মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ১৪ নভেম্বর ওবায়দুল হককে একমাত্র আসামি করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক আলী হোসেন। অভিযোগপত্রে ২৬ জনকে সাক্ষি করা হয়। এরপর গত ২২ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। পরে তিনি মামলাটি ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দিয়ে ১৭ এপ্রিল চার্জ শুনানির দিন ঠিক করেন।
নিহত রিশা রাজধানীর বংশাল থানাধীন সিদ্দিক বাজার এলাকার রমজান হোসেনের মেয়ে। অন্যদিকে ওবায়দুল দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মীরাটঙ্গী গ্রামের মৃত আবদুস সামাদের ছেলে। তিনি রাজধানীর ইস্টার্ন মল্লিকা শপিংমলের বৈশাখী টেইলাসের কর্মচারী।
প্রায় ৬ মাস আগে বৈশাখী টেইলার্সের স্কুলের ড্রেস বানাতে রিশা মায়ের সঙ্গে গিয়েছিল। সেখানে দেওয়া মোবাইল নম্বর পেয়ে রিশাকে উত্ত্যক্ত শুরু করে ওবায়দুল।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস