সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আজ বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা প্রয়োগে নীতিমালা কেন প্রণয়ন করা হবে না সীমান্তে আটক দুই নারীকে হস্তান্তর করল বিএসএফ বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ভালো না থেকে উপায় নেই: প্রধান উপদেষ্টা যে এতিমের হক মেরে খায় সে যেন জাহান্নামের আগুন খেলো: আজহারী নতুন মামলায় আনিসুল-কামরুলসহ গ্রেফতার ৬ চূড়ান্ত এডিপির আকার কমে ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা ওএসডি হলেন ২৯ সিভিল সার্জন, তারা কারা ১২ কেজি এলপিজির দাম ২৮ টাকা কমলো উত্তরাঞ্চলের ‘জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা’ হতে চান রংপুরের সিরাজ-উদ-দৌলা কুমিল্লা সিটির সাবেক মেয়র সূচনার ব্যাংক হিসাব জব্দ শেখ পরিবারের নামে থাকা ২৭ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন আজানের সুর কানে এলে গায়ে কাঁটা দেয় : সৌমিতৃষা শাহজাদপুরে হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪ তেল, ডাল, আটা-ময়দাসহ একগুচ্ছ পণ্যে ভ্যাট প্রত্যাহার বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহারে যে সব নির্দেশনা দিল ডেসকো সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক পরিদর্শনে গেলেন সেনাবাহিনী প্রধান শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে হত্যা গুজব ছড়িয়ে সড়ক অবরোধ, অর্ধশতাধিক কারখানায় ছুটি ঘোষণা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি মির্জা ফখরুল

‘সেতুর অভাবে ঘুরতে হয় ২০ কিলোমিটার’

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের রাজৈর গ্রামের শশা চাষী আলামিন প্রধান। সারা বছর নিজের উৎপাদিত ফসল  আড়তে নিয়ে বিক্রি করেন তিনি। রাজৈর খেয়াঘাটে সেতুর অভাবে তাকে ফসল নিয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার ঘুরে আড়তে যেতে হয়। এ কারণে ফসলের ফলন ভালো হলেও পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় লাভের পরিমাণ কম পাচ্ছেন তিনি।

নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে আলামিনের মতো শতাধিক কৃষক বছরের পর বছর এভাবে লোকসান গুনছেন। 

গোপালপুর এলাকায় ধলেশ্বরী নদীরপাড়ে রাজৈর খেয়াঘাটে আক্ষেপের সুরে কৃষক আলামিন প্রধান বলেন, “ডিপ্লোমা শেষ করে বেকার না থেকে কৃষি কাজে যুক্ত হয়েছি। বাপ-দাদারা সবাই কৃষি কাজের সঙ্গে ছিলেন, এখনো আছেন। আধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করে চাষাবাদ করে ফসলের ভালোই ফলন পাচ্ছি।

নদীতে সেতু না থাকায় ঘিওর হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের প্রায় ২০ কিলোমিটার ঘুরে আড়তে নিয়ে ফসল বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে কয়েকগুণ পরিবহন খরচ গুনতে হয়। পাশাপাশি সময় ও পরিশ্রম বেশি লাগছে। একটি সেতু হলে এ অঞ্চলে কৃষকদের ভাগ্য বদলে যাবে।” 

রাজৈর খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ধলেশ্বরী নদীর এই খেয়াঘাট দিয়ে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর, মানিকগঞ্জের ঘিওর, দৌলতপুর ও সাটুরিয়া অঞ্চলের মানুষ যাতায়াত করছেন। খেয়াঘাটে মানিকগঞ্জের বরাইদ ইউনিয়নের গোপালপুর বাজারে কাকরাইদ, শিমুলিয়া, নাটুয়াবাড়ি, পাছকলিয়া, রৌহা, পয়লাসহ একাধিক গ্রামের মানুষের যাতায়াত রয়েছে। এসব গ্রামের শিক্ষার্থীরাও খেয়াঘাট পার হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায়। 

রাজৈর গ্রামের অটোরিকশা চালক মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, “আমি অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। আমাকে অটোরিকশা গোপালপুর বাজারে রেখে বাড়িতে ফিরতে হয়। সেতু না থাকায় এ এলাকার মানুষ হয়েও অটোরিকশা অন্য এলাকায় গিয়ে চালাতে হয় আমাকে।”

শিক্ষার্থী কুসুম আক্তার বলেন, “খেয়াঘাটে পার হতে অনেক সময় লাগে। অনেক সময় ক্লাসে যাইতেও দেরি হয়। সেতু হইলে তাড়াতাড়ি স্কুলে যাইতে পারতাম।” 

গোপালপুর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, “গোপালপুর বাজার আশেপাশের এলাকার মানুষের বাণিজ্যিক স্থল।  সেতুর অভাবে এই বাজারে আসতে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। সেতু না থাকায় বাজারের জমজমাট ভাবটাও কমে যাচ্ছে। রাজৈর খেয়াঘাটে সেতু হলে বাজারে বেচাকেনা বাড়বে, ভাগ্যের চাকা সচল হবে। একই সঙ্গে এলাকায় বেকারত্বও কমবে।” 

সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইড) মো. ইমরুল হাসান বলেন, “রাজৈর খেয়াঘাটে প্রায় ৩৫০ মিটার লম্বা একটি সেতু নির্মানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ করলে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। সব ঠিক থাকলে, আগামী অর্থ বছরে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হতে পারে।” 

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ/

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com