ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েও অর্থের অভাবে ভর্তি হতে না পারা রবিউল ইসলামের দায়িত্ব নিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
রবিউলকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীর নজরে এলে তিনি তার ভর্তির দায়িত্ব নিতে নির্দেশ প্রদান করেন।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদিতমারী উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন।
রবিউল ইসলাম লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের তিস্তার চরাঞ্চলের দিনমজুর আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে। চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট রবিউল।
জানা গেছে, রবিউল ইসলামের বাবা আব্দুল কাইয়ুমের এক সময় জমিজমা ও অর্থ-সম্পদ ছিল। কিন্তু সর্বনাশা তিস্তা পরিবারের সেই সুখ তছনছ করে দিয়েছে। সব হারিয়ে চরাঞ্চলে অন্যের জমিতে কোনোমতে রাতযাপন ও দিনমুজরী করে সংসার চালান।
স্থানীয়রা জানায়, রবিউল ২০১৮ সালে গোবরধন হায়দারীয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান শাখায় এসএসসিতে জিপিএ-৫ ও ২০২০ সালে লালমনিরহাট সরকারি কলেজ থেকে একই বিভাগ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ- ৪.৪২ পেয়েছেন।
এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ঢাবিতে ‘ক’ ইউনিটে ২৭৫৭তম ও চবিতে ‘ক’ ইউনিটে ৯৮৭তম স্থান অর্জন করেন। এছাড়া গুচ্ছ পরীক্ষায় ৫২.৫২ নম্বর রয়েছে তার। রবিউলের ইচ্ছা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবেন। কিন্তু সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় অর্থ।
রবিউল ইসলাম জানান, শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস ফোন করার পর স্বপ্নপূরণের একধাপ এগিয়ে গিয়েছি। আমি এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করতে পারব।
গোবরধন হায়দারীয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান বলেন, মাধ্যমিক উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে জানতে পেরেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য রবিউলের দায়িত্ব নিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
আদিতমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের এপিএস ফোন করে রবিউলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ