এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল বিশ্বের সবচেয়ে বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাংক। সংস্থার মতে, চীনের শূন্য কভিড নীতি ও আবাসন সংকটের কারণে আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চীনের লকডাউনে কারখানার উৎপাদন যেমন ব্যাহত হয়েছে, তেমনি খরচও বেড়েছে। এর ফলে ৩০ বছরে প্রথম চীনের প্রবৃদ্ধি প্রতিবেশীদের পেছনে পড়েছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভসহ ইউরোপীয় অন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সুদের হার বৃদ্ধি এশিয়ার অর্থনীতিতে চাপ তৈরি করছে। গত মঙ্গলবার এক পূর্বাভাসে সংস্থা জানায়, ২০২২ সালে এশিয়ার অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি আসবে ৩.২ শতাংশ, যা এপ্রিলে দেওয়া ৫ শতাংশ পূর্বাভাসের চেয়ে কম। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশ চীনের প্রবৃদ্ধি এ বছর কমে হবে ২.৮ শতাংশ। তবে ২০২৩ সালে তা কিছুটা বেড়ে হবে ৪.৫ শতাংশ। যদিও এর আগে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছিল, চীনের প্রবৃদ্ধি আসবে ৫ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংক আরো জানায়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো আগ্রসীভাবে সুদের হার বৃদ্ধি করছে, যা এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে ঝুঁকি তৈরি করছে। বিশ্বব্যাংকের পূর্ব এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েলা ফেরো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এশিয়ার প্রবৃদ্ধি যখন শ্লথ হচ্ছে, তখন দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ নীতিতে সংশোধন আনা প্রয়োজন। কারণ এটি দীর্ঘ মেয়াদে উন্নয়নে বাধা। ’
এর আগে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এক পূর্বাভাসে জানায়, তিন ঝুঁকিতে টানা দুই বছর প্রবৃদ্ধি কমবে এশিয়ার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সুদের হার বৃদ্ধি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং চীনের কভিড-১৯ লকডাউন—এ তিন কারণে ২০২২ ও ২০২৩ সালে প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ