রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে আনা বিপুল পরিমাণ কসমেটিকস পণ্য জব্দ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগ। অভিযানে ফিরোজ আলম বাবু (৩৭) নামে এক চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিবি তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মিজানুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রাজধানীর বনশ্রীতে গ্রেফতার ফিরোজের বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কসমেটিকস জব্দ করা হয়। পাশাপাশি তার বাসার সামনে কসমেটিকস লোড করার সময়ে একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়। এসব পণ্য আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আনা হয়। যার মধ্যে শরীরের রঙ ফর্সাকারী চার ধরনের পণ্য রয়েছে। যার সংখ্যা ২৫ হাজারের বেশি। এর আনুমানিক বাজারমূল্য ৪৮ লাখ টাকা।
এসব পণ্যে আনুমানিক ৬ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য স্থানীয়ভাবে যাচাই করেছে ডিবি।
ডিসি মিজানুর রহমান আরও বলেন, মূলত এই পণ্যগুলো দেশের স্থানীয় বাজারে ও অনলাইনে বিক্রি হতো। এসব পণ্যের গুণগত মান যাচাইয়ের সুযোগ থাকছে না। কারণ এই পণ্যগুলো কোথায় কারা তৈরি করেছে এবং পণ্যের মান যাচাই করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সেই সুযোগ থাকছে না। ফলে গ্রাহকদের ক্ষতি আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
বিভিন্ন সময় চোরাই পণ্য জব্দ করা হয়, কিন্তু এর সঙ্গে জড়িত মূলহোতারা আড়ালে থাকছে। হোতাদের গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিসি মিজান বলেন, গ্রেফতার ফিরোজ জানিয়েছেন, তিনি একটি চক্রের মাধ্যমে স্থলবন্দর এড়িয়ে সীমান্ত দিয়ে এসব পণ্য নিয়ে আসে। পরে সেগুলো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে যায়।
তবে এক্ষেত্রে স্থানীয় কিছু লোক জড়িত আছে। এই চক্রের প্রতিটি ধাপে লোক আছে। এই চোরাচালান একটি চেইন মেনে করা হয়। আমাদের যে মামলা নিয়েছি সেটার তদন্তে বেরিয়ে আসবে এবং এর মূলহোতাকে গ্রেফতার করা হবে।
সীমান্তে কোনো দুর্বলতা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সীমান্তে বিজিবি আছে। তারা সীমান্ত সুরক্ষায় কাজ করছে। দেশের তিন দিক দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত। এই বিশাল সীমান্তটি বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুরক্ষা দিচ্ছে। তবে অপরাধীদের ভিন্ন ভিন্ন কৌশল থাকে এবং তারা সময়ের সঙ্গে কৌশল পরিবর্তন করে।
গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান ডিবির এ কর্মকর্তা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ