বাংলা৭১নিউজ, সিলেট প্রতিনিধি: সিলেট পৌঁছেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ১০ টা ৫৫ মিনিটে তিনি বিমানে সিলেট পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসাবে আছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ছাড়াও কয়েক কেন্দ্রীয় নেতা।
সিলেট পৌঁছেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি নগরীর তিন আউলিয়া হযরত শাহজালাল (রহ.), শাহপরান (রহ.) ও গাজী বোরহান উদ্দিন(রহ:) মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে যান।
এরমধ্যে প্রথমে তিনি হযরত শাহজালাল(রহ:) এর মাজার থেকে তিন আউলিয়ার মাজার জিয়ারত শুরু করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী যুগান্তরকে জানান, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছালে জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
তিনি জানান, তিন আউলিয়ার মাজার জিয়ারত করে নেত্রী সিলেট সার্কিট হাউসে বিশ্রামে যাবেন। সেখানে তিনি মধ্যাহ্নভোজের পর বেলা ২টায় আলীয়া মাঠের জনসভাস্থলে যাবেন।
এদিকে, গত ৩০ জানুয়ারি সিলেটের আলীয়া মাঠে জনসভা করে এবারের নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগাম ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে সরাসরি নির্বাচনী প্রচারের জন্য দীর্ঘ ১৭ বছর পর সিলেট আলীয়া মাঠে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা এবার বক্তব্য রাখবেন।
এ উপলক্ষে প্রস্তুত করা হয়েছে সিলেট সরকারী আলীয়া মাদ্রাসা মাঠ, প্রস্তুত সভামঞ্চ। অপেক্ষায় সিলেটের কোটি জনতা।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে আলীয়া মাঠের চারদিক। নগরীতেও মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক আইনশৃংখলাবাহিনীর সদস্য।
পয়েন্টে পয়েন্টে চলছে সন্দেহভাজনদের তল্লাশী। দলীয় প্রধানের জনসভা সামনে রেখে উজ্জীবিত চার জেলার আওয়ামী লীগ।
ওই জনসভা মঞ্চে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কথা এবারের নির্বাচনে সিলেট বিভাগের সকল নৌকা প্রতীকের কাণ্ডারীদের।
জনসভা শেষে ফেরার পথে সিলেট ক্লাবে বিভাগের নৌকার প্রার্থী ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শেখ হাসিনা মতবিনিময়ও করবেন বলে জানান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা এবার সিলেট সফরে আসছেন সম্পূর্ণ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে। নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে সরকারি কোন রকমের সুযোগ-সুবিধা নেয়া হচ্ছে না।
মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন জানান, মঞ্চ বরাবরের মতো বড় করা হয়নি নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধির কারণে। ৮০ ফুট মঞ্চের পরিকল্পনা হলেও পরে তা করা হয়েছে ২০ ফুটের।
‘আচরণবিধির কারণে দলীয় প্রধানের সফরে তৈরি করা হয়নি কোন তোরণও। জনসভার মাঠ ও মঞ্চের নিরাপত্তায় একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ছাড়াও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।’
আসাদ উদ্দিন বলেন, নজরদারিতে রাখা হয়েছে মাঠের আশপাশের আবাসিক বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের। দলীয় প্রধানের এই সফর সামনে রেখে শুক্রবার রাতেই সিলেট পৌঁছান দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
তিনি জানান, সিলেট বিভাগের নৌকার প্রার্থীরা তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে জনসভায় যোগ দেবেন। ফলে জনসভা জনসমুদ্রে রূপ নেবে।
এর আগে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি সিলেট সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময় বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর ফলকের উন্মোচন করেন তিনি।
২০০১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা অষ্টম সংসদ নির্বাচনের সময় সিলেটের জনসভায় বক্তব্য রাখেন। তবে নবম সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় সিলেট আসেননি।
২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনের সময় তিনি নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে আয়োজিত জনসভায় ঢাকা থেকে টেলিকনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলেন। সূত্র: হাসিবুল হাসান ও সংগ্রাম সিংহ, ইয়াহইয়া মারুফ, যুগান্তর।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস