সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ নির্মাণ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় ট্রাকচালককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
গ্রেফতার শফিকুল ইসলাম (২৭) মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা আলুভর্তি ট্রাকের চালক। তিনি শেরপুর সদর উপজেলার নয়াপাড়া মোকসেদপুর গ্রামের মো. মিস্টার মিয়ার ছেলে।
রোববার (১১ জুন) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সিনিয়র এএসপি আফসান আল আলম। তিনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় র্যাব ৯ এর একটি বিশেষ দল পটুয়াখালী সদরে অভিযান চালিয়ে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে শফিকুলকে গ্রেফতার করে।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ট্রাকচালক শফিকুল নিজেও ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। তার পায়েরতলা থেকে গোড়ালি পর্যন্ত গাড়ির কাচে কেটে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে দক্ষিণ সুরমার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ঘটনার দিন (৭ জুন) বিকেলে এনা পরিবহনের একটি বাসে করে ঢাকায় চলে যান। পরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে নিজের বাড়ি শেরপুরে না গিয়ে শ্বশুরবাড়ি পালিয়ে যান।
আফসান আল আলম বলেন, বহুল আলোচিত ওই সড়ক দুর্ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নিহত নির্মাণ শ্রমিক সায়েদ নূরের ছেলে বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় দুই চালকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল শনিবার সন্ধ্যায় শফিকুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। রোববার সকালে শফিকুলকে সিলেট নিয়ে আসা হয়। বিকেল ৩টার দিকে তাকে দক্ষিণ সুরমা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে
গত বুধবার ভোরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নাজিরবাজারের কুতুবপুর এলাকায় আলুবোঝাই ট্রাক ও শ্রমিকদের বহনকারী পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৫ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। নিহত শ্রমিকরা নগরের আম্বরখানা এলাকা থেকে ঢালাই কাজের জন্য ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুরে যাচ্ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ