সিলেট নগরের টিবি গেট এলাকায় নিজ বাসার সামনে দুর্বৃত্তের হামলায় আরিফ আহমদ (১৯) নামে একজন ছাত্রলীগকর্মী নিহত হয়েছেন।

নিহত ছাত্রলীগকর্মী আরিফ আহমদ টিবি গেট এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে ও সিলেট সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিনি জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলামের অনুসারী বলে জানা গেছে।

সোমবার (২০ নভেম্বর) রাত ১১টা ৫০ মিনিটে বাসার সামনে ওয়াকওয়েতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা চালানো হয় দুর্বৃত্ত। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।

নিহতের স্বজনরা জানান, গত ৪/৫ দিন আগেও আরিফের ওপর স্থানীয় কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুর লোকজন হামলা করে। আরিফ আহত হয়ে মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রোববার সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরেন। সোমবার রাতে সেই হামলার ঘটনায় শাহপরান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে রাতে আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে আরিফ বাসার পাশে ওয়াকওয়েতে হাঁটতে যান। তখনই তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়। কাউন্সিলরের অনুসারী ছাত্রলীগকর্মীরা তাকে কুপিয়ে আহত করে।

নিহতের মায়ের দাবি, হামলায় স্থানীয় কাউন্সিলর ও সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছেন।

সিলেট জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, নিহত আরিফ ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। চার-পাঁচদিন আগে আরিফের ওপর হামলা করেছিলো এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। গতকাল বিকালে আরিফ হামলার ঘটনায় নগরের শাহপরান থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। সেখান থেকে ফেরার সময় তার ওপর হামলা চালানো হয়। 

এটাকে পরিকল্পিত দাবি করে নাজমুল বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে পরবর্তী কর্মসূচি জানাবে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ।

এব্যাপারে কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুর মোবাইলে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

কোতোয়ালি থানার ওসি আলী মাহমুদ জানান, কারা কেনো হত্যা করেছে সে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশের টিম কাজ করছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এআরকে