সিলেটের জালালাবাদ থানাধীন নাজিরেরগাঁও এবং নয়াখুররমখুলা গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে উভয় পক্ষের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ হয়ে যায় এবং পথচারীসহ সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে জালালাবাদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়, কিন্তু সংঘর্ষ তীব্র হতে থাকে। পরে সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পাশাপাশি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও উভয় পক্ষকে শান্ত করতে এগিয়ে আসেন। দুই গ্রামের মধ্যে চলা এই সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৮ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন জালালাবাদ থানার নয়াখুররমখুলা গ্রামের ঘোলাই মিয়ার ছেলে মো. ওয়ারিস (৫৫), একই এলাকার মৃত আলতু মিয়ার ছেলে তকদির ইসলাম (৩৫), মৃত আফরুজ আলীর ছেলে তসির আলি (৬০), সাং নয়াখুররমখুলা, জালালাবাদ, নাজিরগাঁও গ্রামের মকবুল আলীর ছেলে সাহব আলী, নাজিরগাঁও গ্রামের মৃত জোবেদ আলীর ছেলে আতাউর (৫২), নাজিরেরগাঁও গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে সামাদ, উত্তর বাগ, জালালাবাদ গ্রামের মনিরাম গরাইটের ছেলে দীপক গরাইট (২৪), নাজিরেরগাঁও গ্রামের মৃত মো. হামীম মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া (৩৫)।
জালালাবাদ থানা পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সংঘর্ষের মূল কারণ এখনো জানা যায়নি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএকে