শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দু’পক্ষের হাতাহাতি পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে মায়ের জন্য বাসায় রান্না করা খাবার নিয়ে গেলেন তারেক রহমান বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র লেবানন-ইয়েমেনে ইসরায়েলের হামলা, গাজায় নিহত আরও ২১ সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুলসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবিতে লিফলেট বিতরণ এবার কারও পক্ষ নিয়ে কাজ করলে অসুবিধা হবে : কর্মকর্তাদের সিইসি অল্প কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি শেখ হাসিনার দুর্নীতি খুঁজে বের করতে টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত ডিএমপির ১২ ডিসিকে বদলি ‘বৃহত্তর ইসরাইলের’ মানচিত্র প্রকাশ, আরব দেশগুলোর কড়া প্রতিবাদ বিমানবন্দরে রক্তাক্ত সেই প্রবাসীকে জরিমানা, হতে পারে জেলও ৩০ জুনের আগেই মহার্ঘভাতা ঘোষণা মানিকগঞ্জে ডিসির রুমের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান দাবি মানার আল্টিমেটাম দিয়ে ‌‌শাহবাগ ছাড়লেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা শরীয়তপুরে থানা থেকে ওসির মরদেহ উদ্ধার নিক্সন ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকা লেনদেন শহীদ মিনারের পর শাহবাগ অবরোধ বিডিআর সদস্যের স্বজনদের

সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

রপ্তানি বাণিজ্যের আড়ালে মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ১০০০ কোটি টাকা) বিদেশে পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমানসহ ২৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা করেছে সিআইডি।

সালমান এফ রহমান এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ও বেনামে প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক বিদেশে পাচারের পৃথক অনুসন্ধান চালাচ্ছে সিআইডি।

সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান বলেছেন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও বিধি অনুযায়ী পরিচালিত সিআইডির অনুসন্ধানে সালমান এফ রহমান (বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান) এবং তার ভাই এ এস এফ রহমানের (বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান) স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকানাধীন ১৭টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে জনতা ব্যাংক পিএলসি লোকাল অফিস শাখা মতিঝিলের দিলকুশা থেকে ৯৩টি এলসি/সেলস কন্ট্রাক্ট (বিক্রয় চুক্তি) নেয়। এর বিপরীতে পণ্য রপ্তানি করে নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরেও রপ্তানিমূল্য প্রায় ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রা প্রায় ১০০০ কোটি টাকা) বাংলাদেশে না এনে বিদেশে পাচারের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে, অনুসন্ধানে পাওয়া রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে- ১. অ্যাডভেঞ্চার গার্মেন্টস লিমিটেড, ২. অ্যাপোলো অ্যাপারেলস লিমিটেড, ৩. অটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেড, ৪. বেক্সটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেড, ৫. কসমোপলিটান অ্যাপারেলস লিমিটেড, ৬. কোজি অ্যাপারেলস লিমিটেড, ৭. অ্যাসেস ফ্যাশন লিমিটেড, ৮. ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলস লিমিটেড, ৯. কাঁচপুর অ্যাপারেলস লিমিটেড, ১০. মিডওয়েস্ট গার্মেন্টস লিমিটেড, ১১. পিয়ারলেস গার্মেন্টস লিমিটেড, ১২. পিঙ্ক মেকার গার্মেন্টস লিমিটেড, ১৩. প্ল্যাটিনাম গার্মেন্টস লিমিটেড, ১৪. স্কাইনেট অ্যাপারেলস লিমিটেড, ১৫. স্প্রিং ফুল অ্যাপারেলস লিমিটেড, ১৬. আরবান ফ্যাশনস লিমিটেড ও ১৭. উইন্টার স্প্রিন্ট গার্মেন্টস লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে প্রায় ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রা প্রায় ১০০০ কোটি টাকা) মূল্যমানের পণ্য সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। 

বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী পণ্য রপ্তানি করার পর রপ্তানিমূল্য ৪ মাসের মধ্যে আনার বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও যথাসময়ে রপ্তানি মূল্য বাংলাদেশে না এনে সালমান এফ রহমানসহ বেক্সিমকো গ্রুপের অন্যান্য স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওই অর্থ বিদেশে পাচার করার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। 

বিদেশে রপ্তানি হওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ পণ্যই বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান এবং এ এস এফ রহমান এর পুত্র আহমেদ শাহরিয়ার রহমান দ্বয়ের যৌথ মালিকানাধীন আর আর গ্লোবাল ট্রেডিং (এফজেডই) এর শারজাহ, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরবের ঠিকানায় রপ্তানি করা হয়েছে। এছাড়া জার্মানি, নেদারল্যান্ড, ইউকে, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশেও পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে রপ্তানি মূল্য বাংলাদেশে না এনে ওই আসামিরা পারস্পরিক যোগসাজশে বিদেশে পাচার করেছেন।

আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বিদেশে টাকা পাচারের অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পণ্য রপ্তানি করে ইচ্ছাকৃতভাবে রপ্তানিমূল্য না এন মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ২(শ) এর (১৪) ও (২৬) ধারায় সম্পৃক্ত অপরাধ করে, যা একই আইনের ৪(২)/৪(৪) ধারা অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। 

বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান এবং তার সহযোগীরা তাদের ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সহযোগিতায় বিদেশে অর্থপাচার করেছে মর্মে অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হওয়ায় ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম হিসেবে সিআইডি মতিঝিল থানায় ১৭টি মামলা দায়ের করেছে।

এছাড়া সালমান এফ রহমান এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ও বেনামে প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক বিদেশে পাচার এবং অন্যান্য আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে পৃথক অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com