রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দলগতভাবে নির্বাচন হলে ভোটার উপস্থিতি সহজ হতো: নানক নির্বাচনের পর সংকট আরও বেড়েছে: ফখরুল আরো জনশক্তি নেবে সৌদি আরব সুপারিশের কার্যকারিতা নেই, জল ঘোলা করার চেষ্টা হচ্ছে: মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ চোরাচালানের ৩৪৪ মোবাইল ফোন জব্দ, কারবারি গ্রেপ্তার বাইকারদের বিক্ষোভ মোটরসাইকেল ৩০ কিলোমিটারের ঠেলাগাড়ি নয় বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মির, নিহত ১ পুলিশ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের ক্ষতি করছে ‘মিডল ম্যান’ চামড়া ব্যবসায়ীদের ঋণ পেতে সুপারিশ করা হবে: শিল্পমন্ত্রী বেনেট-রাজায় জিম্বাবুয়ের বড় জয় ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে’ প্রতিশ্রুত সেবা না দিলে অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ রূপালী ব্যাংকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানের পেছনে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ১ এসএসসি : কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ২৩ লিভ টু আপিল খারিজ, জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই ব্রাজিলে বন্যা-ভূমিধসে ১৩৬ জনের মৃত্যু দাখিলে পাসের হার ৭৯.৬৬, জিপিএ-৫ পেল ১৪২০৬ জন

সালথায় আইন শৃঙখলার অবনতির অভিযোগ অস্বীকার করলেন ওসি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৮
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আইনশৃঙখলার চরম অবনতি হয়েছে। ৩দিনে ৪ বার জয়ঝাপ, মাঝারদিয়া ও রামকান্তপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। থানার ওসির বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ এলাকাবাসীর।

বিভিন্ন এলাকা সুত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের জয়ঝাপ গ্রামে আ’লীগ নেতা আবু জাফর মোল্যার সমর্থকদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন খান ঘটনাস্থলে পৌছাইয়া আবু জাফর মোল্যার সমর্থন নিয়ে খোরশেদ খানের সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে মহিলাদের অকর্ত ভাষায় গালি-গালাজ ও রান্না করার হান্ডি-পাতিল ভাংচুর করে বলে মহিলারা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এঘটনা শেষ হতে না হতেই শুক্রবার বিকালে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামে দলাদলী নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হামিদের সমর্থকদের সাথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম মাতুব্বারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সালথা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খান সেলিম মাতুব্বারের পক্ষ নিয়ে হামিদ চেয়ারম্যানের সমর্থকদের বাড়িতে মহিলাদের অকর্তভাষায় গালিগালাজ ও গায়ে হাত তোলেন বলে সাবানা বেগম নামে এক মহিলা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন। এঘটনার পরেই স্থানীয় মহিলারা ওসির বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বিচার দাবী করেন। এই সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ৪০ ব্যাক্তি আহত হয়। সংঘর্ষকারীরা কয়েকটি পাটখড়ির পালায় আগুন ধরিয়ে দেয়। সেলিম মাতুব্বারের পক্ষ নিয়ে ওসি দেলোয়ার হোসেন ঘর পোড়ানোর অভিযোগ এনে হামিদ চেয়ারম্যানের সমর্থকদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং-০৭।
faridpur news and pic-21-1-20185
মাঝারদিয়া গ্রামের টিটুল মোল্যা ও বতু মোল্যা বলেন, সংঘর্ষ থেমে যাওয়ার পরে সালথা থানার ওসি ঘটনাস্থলে এসে চেয়ারম্যানের লোকজনের বাড়িতে প্রবেশ করে মহিলা ও পুরুষদের উপর লাঠি চার্জ ও অকর্ত ভাষায় গালিগালাজ করে। আমরা এই ওসির বিচার চাই।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম মাতুব্বার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে পুলিশের কোন ভুমিকা নেই। পুলিশ যদি ভুমিকা নিতো তাহলে কোন সংঘর্ষ হতো না। ওরা চার পাশ থেকে টাকা খায়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মাঝারদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হামিদ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার যে খানেই সংঘর্ষ বাধে, সেখানেই সালথা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন একটি পক্ষ নিয়ে অন্যপক্ষকে ঘায়েল করেন। একই কায়দায় মাঝারদিয়া গ্রামের সংঘর্ষের পর সেলিম মাতুব্বারের পক্ষ নিয়ে আমার লোকজনের বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের অকর্ত ভাষায় গালি-গালাজ, গায়ে হাত ও লাঠিচার্জ করেন। ওসির কারণেই সালথার আইনশৃঙখলার চরম অবনতি হচ্ছে। আমি ওসি দেলোয়ারের অপসারণ দাবী করছি।
সকল অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে সব সময় চেষ্টা করি। ঘর পোড়ানো মামলার বিষয়টি তদন্তপর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com