আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মানবাধিকার দিবসে সারাদেশে বিশৃঙ্খলা করার ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি-জামায়াত। জনসম্পৃক্ততার অভাবে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন নাশকতা করে সেই আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে চায়।
বুধবার(৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এমন একটা দল যারা ভুলের রাজনীতি করছে এবং জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্রে যেভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে তাতে এক পর্যায়ে দেখা যাবে জামায়াতই বিএনপিতে মূল নেতৃত্ব দেবে। বিএনপি হবে জামায়াতের বি-টিম।
বিএনপি অফিসে তালা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নিজেরাই তালা লাগিয়েছে। সাহস থাকলে বের হয়ে আসুক।
১৪ দলীয় জোটের শরীক জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বৈঠকের আগে বলবো কেমন করে? আগে বৈঠক করি, তাদের বক্তব্য আগে শুনবো, আগামী দিনে কীভাবে চলবো- দলীয় বক্তব্যটা আগে শুনবো।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরোধী দল বিষয়ে ওবায়দুল কাদের জানান, বিরোধী দল দাঁড়িয়ে যাবে। তৃনমুল বিএনপি-তারা তো বৃহৎ জোট। সুপ্রিম পার্টি। আরো অনেকে আছে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
এবার জাতীয় পার্টির শক্তিশালী বিরোধী দলের মোক্ষম সময় নিয়ে নিজের বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা ছিল আমার ব্যক্তিগত মতামত। তারা আমার মতের সঙ্গে একমত নাও হতে পারে। এটাও গণতন্ত্র। যারাই নির্বাচন করবে তারাই পরস্পরের প্রতিপক্ষ হবে। জোটের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আসন বণ্টন ২/১ দিনের মধ্যে।
স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পৃথিবীতে বিশুদ্ধ গণতন্ত্র বিরল। এরপরও শত বাধা বিপত্তি প্রতিবন্ধকতার মুখেও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ৭৫ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই গণতন্ত্রের হাল ধরেছেন। সে কারণে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতির পরও আমরা গণতন্ত্র বিকাশের পথে এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিমসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ