পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হাসান মিসবাহের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি এবং ‘অবৈধ’ এসপিএ ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএইচআরএফ) নেতারা।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে সমাবেশে বক্তারা এ দাবি জানান। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম এই সমাবেশের আয়োজন করে।
ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি বলেন, একশ্রেণীর মানুষ সাংবাদিক নির্যাতন করে অনুসন্ধান বন্ধ করতে চায়। সত্যকে মাটিচাপা দিতে চায়। এরা দেশ ও জাতির শত্রু। কামরাঙ্গীরচরে অনুমোদন ছাড়া অবৈধ ক্লিনিক চালু রয়েছে এমন তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে আমাদের সহকর্মী হাসান মিসবাহ হাসপাতালের মালিক ডা. এইচ এম ওসমানীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন।
আমরা আশ্চর্য হয়েছি সাংবাদিক আক্রান্ত হওয়ার পর পুলিশ সহায়তার পরিবর্তে কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই নিজেই সাংবাদিক নির্যাতনে অংশ নেন। জনগণের সেবক পুলিশ নিজেই হামলায় জড়িয়ে পরেন। আমরা সেই এসআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই। একইসঙ্গে অবৈধ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান এসপিএ ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, হাসান মিসবাহর ওপর হামলাকারী চিকিৎসক এইচ এম ওসমানীর বিএমডিসির সনদ বাতিল করতে হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ওই চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা না হলে পরবর্তী কর্মসূচি বিএমডিসি ভবনের সামনে পালন করা হবে। তাতেও দাবি আদায় না হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সামনে কর্মসূচি পালন করা হবে।
ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি বাছির জামাল, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম মুর্তজা ধ্রুব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মঈনুল আহসান, হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের জ্যেষ্ঠ সদস্য আয়নাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা মোজ্জাম্মেল কমল।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, কার্যনির্বাহী সদস্য প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি শিশির মোড়ল, ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবু আলী, ফোরামের সহ-সভাপতি সেবিকা দেবনাথ, জ্যেষ্ঠ সদস্য মাজেদুল হক নয়ন, অর্থ সম্পাদক মুন্সী মোহাম্মদ বায়েজিদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তাওসিয়া তাজমিম প্রমুখ।
গত মঙ্গলবার কামরাঙ্গীরচরের এসপিএ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিএমডিসির সনদ ছাড়াই রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে- এমন খবর নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হাসান মিসবাহের ওপর হামলা চালায় ওই হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা। এসময় তারা ক্যামেরাম্যান ও গাড়িচালককে মারধর এবং ভাঙচুর করে। হাসান মেসবাহ বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাংলা৭১নিউজ/এমসি