রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ইশরাক ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পুলিশ কর্মকর্তা কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার উপজেলা নির্বাচন : দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন এখনো চলছে অটোরিকশাচালকদের বিক্ষোভ, ৩ বাস ভাঙচুর সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা: জেলেরা বলছেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ মেট্রোরেলে ভ্যাট বসানো এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত : ওবায়দুল কাদের ভাঙ্গায় চেয়ারম্যানপ্রার্থীর উঠান বৈঠকে হামলা-ভাঙচুর সিঙ্গাপুরে হঠাৎ মাথাচাড়া করোনার, আক্রান্ত প্রায় ২৬ হাজার বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান, সম্পাদক আইনুল ওএমএস–এ গাফলতি হলে জেল-জরিমানার হুঁশিয়ারি খাদ্যমন্ত্রীর এসএমই মেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সরগরম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, নিষ্প্রভ বাংলা একাডেমি চত্বর

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:
  • আপলোড সময় বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

শুরু থেকেই প্রাণবন্ত এবারের বইমেলা। যদিও এখন পর্যন্ত বেচাকেনা কম। তবে প্রতিদিনই লেখক-পাঠক-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত থাকে মেলা প্রাঙ্গণ। এবছরও দুই ভাগে বসেছে মেলা। বড় অংশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবং অপর অংশ বাংলা একাডেমি চত্বরে। মেলার দুই অংশের চিত্র একেবারে ভিন্ন। প্রতিদিনই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলায় প্রাণোচ্ছল থাকলেও বাংলা একাডেমি চত্বর নিষ্প্রভ। সেখানে দর্শনার্থীদের আনাগোনা কম।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বেড়ে যাওয়ায় মেলা যখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত বিস্তৃত হয় তখন ধীরে ধীরে একাডেমি চত্বরে মেলার আমেজ কমতে থাকে। দর্শনার্থীরা এখন ভিড় করেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানের ১৭৩টি স্টল ও একটি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এই প্রাঙ্গণে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়কে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব স্টলে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক বই থাকলেও নেই দর্শনার্থীদের ভিড়।

অবসর সময় কাটাচ্ছেন একাডেমি প্রাঙ্গণে থাকা স্টলের বিক্রয়কর্মীরা। কিছু দর্শনার্থী আসলেও তারা কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে ছবি তুলে চলে যাচ্ছেন। একাডেমির পুকুরের পাড়ে কাউকে কাউকে বসে আড্ডা দিতে দেখা যায়।

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে থাকা মুক্তধারা প্রকাশনীর স্টলের বিক্রয়কর্মী কাজল বলেন, ‘একটা সময় এই প্রাঙ্গণ খুবই জমজমাট ছিল। এখানে পাঠকদের আনাগোনা কম। দর্শনার্থীরা এসে ছবি তুলে চলে যান। বেচাকেনাও কম।’

তরজুমান প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী আলামিন বলেন, ‘এখন এমন অবস্থা অনেকেই জানে না বাংলা একাডেমিতে মেলা চলে। এখানে খাবারের দোকান নেই, সৃজনশীল বই কম, তাই পাঠকও কম। বেশিরভাগই সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টল। তবে শেষার্ধে বেচাকেনা বাড়বে।’

অন্যদিকে প্রাণবন্ত দেখা গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণ। এই অংশে রয়েছে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানের ৭৬৪টি স্টল। মেলার এই প্রাঙ্গণে শুরু থেকেই পাঠক-দর্শনার্থীদের ভিড়ে জমজমাট দেখা গেছে। বিকেল থেকেই থাকে হইহুল্লোড়। বেচাকেনা কিছুটা কম হলেও লোকসমাগমে সরব সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণ।

স্বরবৃত্ত প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী জাকারিয়া বলেন, ‘আমাদের এখানে সব শিশুতোষ বই। এবার শুরু থেকেই মেলায় মানুষের আগ্রহ বেশি। গত এক সাপ্তাহে মোটামুটি বেচাকেনা হয়েছে। মানুষ আড্ডা দিয়ে টাইম পাস করে চলে যায়।’

জানা যায়, ২০১৪ সালের আগ পর্যন্ত বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ছিল প্রাণবন্ত। সেখানে লেখক, পাঠক ও সাংস্কৃতি কর্মীদের ভিড় ছিল। এরপর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বেড়ে যাওয়ায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও মেলার একটি অংশ রাখে বাংলা একাডেমি।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com