বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছরের বেশি করার পরিকল্পনা সরকারের নেই।’ আজ বুধবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সাংসদ নুরুল ইসলাম ওমরের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানান।
আজ বুধবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল পাঁচটায় অধিবেশন শুরু হয়। সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বের প্রথম ৩০ মিনিট প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ছিল। অন্য মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
নুরুল ইসলাম ওমর সম্পূরক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছরের বেশি বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা যুব বয়সের মেধাশক্তিকে কাজে লাগাতে চাই। এ জন্য আমরা চাই সবাই সময়মতো পড়াশোনা করে চাকরিতে প্রবেশ করুক। এ জন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ থেকে বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।’
৩০ বছর পার করলে কেউ যুবক থাকে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে সংসদের নেতা বলেন, ‘৩০ বছর পার করলে তো সবাই প্রৌঢ় হয়ে যায়। সংসদ সদস্য ওই প্রৌঢ়দের জন্য চাকরির ব্যবস্থার কথা বলছেন কি না, বুঝতে পারছি না। কারণ, ৩০ বছরের পর চাকরি হলে সেটা তো যুবকের জন্য চাকরি হবে না, প্রৌঢ়দের জন্য হবে।’
জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী নির্মিতব্য পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরকে দক্ষিণাঞ্চলে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। সংসদ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে উপস্থিত সফররত কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত আছেন। তাঁদের সঙ্গে আমরা কতগুলো চুক্তি সই করেছি। পায়রা সেতু নির্মাণে কুয়েত আর্থিক সহায়তা দেবে। লেবুখালী সেতুও কুয়েতের অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে। এ জন্য কুয়েত সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’
পায়রা বন্দরের বহুমুখী ব্যবহারের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পায়রা বন্দর কেবল বাংলাদেশ ব্যবহার করবে না। পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশও এই বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এটা আমাদের ব্যাপক কর্মসংস্থানসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।’
রমজানে দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে, আশা প্রধানমন্ত্রীর
জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম মিলনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।
আওয়ামী লীগের সাংসদ মনিরুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ২ হাজার ৯৬৭ কোটি ৯৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পরিচালনার জন্য বঙ্গবন্ধু কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট বাংলাদেশ (বিসিএসবি) কোম্পানি লিমিটেড গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, ২০১৭ সালে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হবে।
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে সংসদের নেতা বলেন, সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং অনুসৃত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পরিকল্পনা এবং সংস্কারমূলক কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নের ফলেই বাংলাদেশ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।
সরকারি দলের মো. ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আয়তনের প্রায় ৯০ শতাংশজুড়ে গ্রাম রয়েছে এবং মোট জনসংখ্যার ৭২ শতাংশ গ্রামে বসবাস করে।
সরকারি দলের কাজী নাবিল আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের বিশেষ সহায়তার আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩১টি খেলার ইভেন্টে তৃণমূল পর্যায় থেকে বাছাইকৃত প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনার জন্য ১৫ কোটি ১০ লাখ এবং মাঠ উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য ৪৪ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।