বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার বর্তমানে বাংলাদেশকে এমন একটি দুর্বল রাষ্ট্রে পরিণত করেছে, এখানে স্বাধীনতা আছে কি না, আমরা বলতে পারি না, সার্বভৌমত্ব রয়েছে কিনা আমরা জানি না। এখানে অন্য দেশের বিভিন্ন অস্রধারী সংগঠন ও সন্ত্রাসীরা আমাদের দেশে ঢুকে ব্যাংক লুট করছে, হামলা করছে। তারা বাংলাদেশের থানা লুট করছে, অস্র লুট করছে। মানুষ হত্যা করছে। একই জেলার বেশ কয়েকটি থানায় আক্রমণ করেছে।
তিনি বলেন, কুষ্টিয়াসহ দেশের অনেক স্থানে মনে হচ্ছে ডকাতদের রাজত্ব চলছে। এখানে কোনো ভদ্র লোক বাস করছে না, সবকিছুর মালিক এ ডাকাতরা। সরকার জনগণের কোনো নিরাপত্তা দিতে পারছে না। সরকার নিজেই দস্যুদের মতো আচরণ করছে।
তারা নিজেরাই যেখানে ডাকাতদের ভূমিকায় রয়েছে, সেখানে তো জনগণের নিরাপত্তা থাকতে পারে না। তারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। লুটপাট করে দেশকে ফোকলা করে দিয়েছে। ঈদের প্রাক্কালে একর পর এক ব্যাংক ডাকাতি হচ্ছে, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি হচ্ছে।
রোববার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরায় দুঃস্থ ও দরিদ্রদের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। একটি দেশ বার বার আমাদের সীমান্তে আক্রমণ করছে, প্রায় প্রতিদিন গুলি করে মানুষ হত্যা করছে। কিন্তু সরকার এর প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারছে না। আমাদের ন্যায্য পানির অধিকার সরকার আদায় করতে পারছে না। এভাবে তো দেশ চলতে পারে না। আমাদের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব তো আমরা বিকিয়ে দিতে পারি না। সুতরাং মানুষের অধিকার ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কফিল উদ্দিন আহেমদ, আব্দুর রাজ্জাক, আতাউর রহমান প্রমুখ।
পরে গরীব ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ