সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাকরির বয়স ৩৫ আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদল যমুনায় অটোমেটেড সেবা প্রতিরোধ করবে অপচয় ও দুর্নীতি : অর্থ উপদেষ্টা নেপালে বন্যা-ভূমিধসে ১৯২ মৃত্যু, উদ্ধারে হিমশিম আমরা প্রস্তুত, দীর্ঘ যুদ্ধেও বিজয়ী হবো: হিজবুল্লাহর উপপ্রধান এবি ব্যাংকের বন্ড ইস্যু পুনর্বিবেচনার আবেদন তেলবাহী জাহাজে আগুনের ঘটনায় ২ জনের মরদেহ উদ্ধার ৯৯৯-এর রেসপন্স টাইম আরো কমিয়ে আনা হবে : আইজিপি প্রাথমিক শিক্ষা সংস্কারে কমিটি, নেতৃত্বে ইমিরেটাস অধ্যাপক মনজুর হাসিনার পতনের পর গ্রামীণফোনের শেয়ারদর বেড়েছে ৫৩ শতাংশের বেশি স্বামীসহ গ্রেফতার সাবেক এমপি হেনরি যুবদল নেতা হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে সুলতান মনসুর মিরাজ-সাকিবের ঘূর্ণির পর ২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা ভারতের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে সুপারিশমালা দেবে বিএনপি সেপ্টেম্বরে নির্যাতনের শিকার ১৮৬ নারী-কন্যাশিশু জিয়াউর রহমানকে ‘রাজাকার’ বলায় মামলা চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির দাবি: পর্যালোচনা কমিটি গঠন ডিসি নিয়োগ নিয়ে হট্টগোল: ১৭ উপসচিবকে শাস্তির সুপারিশ ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে মাঝ রাতের মধ্যে ঝোড়ো হাওয়ার আভাস বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তী সরকার যুক্তরাষ্ট্রে হেলেনের তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯১

সমন্বয়হীনতায় অকার্যকর কমিউনিটি পুলিশিং

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০১৯
  • ১২৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,রিপোর্ট: নামে আছে কামে নেই- বাংলাদেশ কমিউনিটি পুলিশিং এর এমন দশা। এদের কার্যক্রম এখন ঠুঁটো জগন্নাথের ভূমিকায়। একদিকে কমিউনিটি পুলিশিং এর উপর আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার রয়েছে সমন্নয়ের অভাব। অপরদিকে কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যদের কর্মকান্ড নিয়েও বিতর্ক রয়েছে থানা পুলিশের মধ্যে। পুলিশ এবং কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্যদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্রমান্বয়ে বিরোধ বেড়েই চলেছে। তা ছাড়া ক্ষমতাশীল দল ছাড়াও বিরোধীদলের নেতা কর্মী এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের চাপে কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্যদের একধরনের নাভিশ্বাস উঠে আছে। তদুপরি রয়েছে স্থানীয় বখাটে মাস্তান ও মাদক ব্যবসায়ীদের চোখ রাঙানী।

এর পরেও সমন্বয় থাকে না আইন প্রয়োগকারী সংস্থার। যে কারনে কমিউনিটি পুলিশীং এর কার্যক্রম প্রায় ঠুঁটো জগন্নাথের ভূমিকায় বলে অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মতে, কমিউনিটি পুলিশিং এর পদে পদেই রয়েছে একধরনের প্রতিবন্ধকতা। অথচ সমাজের প্রতিবন্ধকতা, অ-আমলযোগ্য অপরাধ, আতংক ঠেকাতে কমিউনিটি পুলিশিং এর কার্যক্রমের প্রয়োজনীতা রয়েছে । এতে করে জনগনের পাশাপাশি পুলিশও লাভবান হবে। বিভিন্ন দেন দরবার সালিশ নিরপেক্ষভাবে বিরোধের নিষ্পতির মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ কমে যাবে। একইভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও উন্নয়ন হবে বলে পুলিশের কর্মকর্তারা মনে করেছেন।

সূত্র জানায়, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের চলমান কার্যক্রমকে বাস্তবায়ন করতে দেশব্যাপী ৪০ হাজার ৯০৮টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটিতে ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৬ জন সদস্য কাজ করছেন। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত জমিজমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৭২৩টি। এছাড়া, টাকা-পয়সা সংক্রান্ত বিরোধ ২২ হাজার ২১৫টি, স্বামী-স্ত্রীর বিরোধ ২৪ হাজার ৫৯৬টি, মারামারি সংক্রান্ত ৩৬ হাজার ৫৮টি, পারিবারিক ২৩ হাজার ৯৭৪টি ও অন্যান্য বিষয়ে ৪৪ হাজার ৪৭৯টি বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

পুলিশের মতে, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের বেশকিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। আস্থা কম থাকায় পুলিশের কোনও আহ্বানে সহজে সাড়া দিতে চায় না জনগণ। পুলিশ ও জনগণ উভয়ের মধ্যেই পুরানো ধ্যান-ধারণা কাজ করে। কমিউনিটি পুলিশিং নিয়ে স্বচ্ছ ধারণাও নেই অনেকের। জনগণের পক্ষ থেকে স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা করা হয় না পুলিশকে। পুলিশ ইচ্ছা করলে সবই পারে এমন ধারণাও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের বড় বাধা।

অন্যদিকে রুটিন ডিউটির বাইরে হওয়ায় বাড়তি ঝামেলা মনে করে পুলিশ সদস্যরাও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ধারণা দিতে এগিয়ে যান না। তাছাড়া এ খাতে কোনও অর্থ বরাদ্দ নেই। জনগণের কাছ থেকে আর্থিক অনুদান নিয়ে এমন কাজ করা অনেক কঠিন। অনেক ক্ষেত্রে চাঁদাবাজির অভিযোগও উঠে। তাছাড়া জনগণের প্রত্যাশা ও মতামতের মূল্য দিতে চান না অনেক পুলিশ সদস্যই।

পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, ১৯৯৩ সালে ময়মনসিংহে প্রথম পুলিশ জনগণের সহযোগিতায় অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রেখেছিল। ওই সময় ময়মনসিংহ শহরে সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট অপরাধ, চুরি ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেজন্য তখন রাতে প্যাট্রল ডিউটির জন্য টাউন ডিফেন্স পার্টি (টিডিপি) গঠন করা হয়। এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য ছিল স্বল্প সময়ের জন্য কিছু অপরাধ দমনে পদক্ষেপ নেওয়া। তারই আদলে ২০০৭ সালে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজির তত্ত্বাবধানে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এই কার্যক্রম শুরু করেন।

২০১৪ সালে পুলিশ সদর দফতরের অরগানোগ্রামে ডিআইজি’র (অপারেশন্স) অধীনে একজন এআইজি’র তত্ত্বাবধানে পাবলিক সেফটি অ্যান্ড ক্রাইম প্রিভেনশন (পিএস অ্যান্ড সিপি) শাখার কার্যক্রম শুরু হয়। ওই উদ্যোগই বর্তমানে কমিউনিটি পুলিশিং নামে পরিচিত। বর্তমানে দেশের সব জেলাতেই কমিউনিটি পুলিশিং সেল রয়েছে এবং প্রতিটি থানায় রয়েছেন কমিউনিটি পুলিশিং অফিসার।

এছাড়া দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলায় কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি কার্যকর রয়েছে। সেসব কমিটিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাসহ সমাজের সব স্তরের জনগণের অংশগ্রহণ রয়েছে। সারাদেশে পরিবহন সেক্টরেও কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সালিশের মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসার কাজ পুলিশ করতে পারে কিনা বা এর কোনও আইনগত ভিত্তি আছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সহেলী ফেরদৌস বাংলা৭১নিউজ-কে বলেন, ‘অবশ্যই পারে এবং এর আইনগত ভিত্তিও রয়েছে। হত্যা, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতিসহ আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া আমল অযোগ্য সব ঘটনাই সামাজিকভাবে মীমাংসা করার সুযোগ রয়েছে। কোনও অধ্যাদেশ বা আইনের মাধ্যমে উদ্ভাবন না হলেও প্রচলিত আইনে স্থানীয়ভাবে কমিউনিটি পুলিশের কার্যক্রমে কোনও বাধা নেই।’

সহেলী ফেরদৌস আরও বলেন, ‘পুলিশ রেগুলেশনের ৩২ প্রবিধি মোতাবেক জনসাধারণের প্রতিনিধি হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের পুলিশি কাজে সহায়তা চাওয়ার বিধান আছে। কমিউনিটি পুলিশ হচ্ছে পুলিশকে সহায়তার জন্য জনগণের একটি সংগঠিত শক্তি। সমাজের সালিসি ব্যবস্থা প্রকারান্তরে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থারই একটি অংশ।’

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com