শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১১:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল এবার পোশাকে নায়িকাদের নাম ফুটিয়ে হাজির ভাবনা সোনালী আঁশের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই: পাটমন্ত্রী অনিয়ম এড়াতে মোবাইল অ্যাপে চাল বিক্রি ৩০ দিনের মধ্যে শহীদ আনোয়ারা উদ্যান ফেরতের দাবি মাগুরায় রেলপথ শিগগিরই চালু হবে : রেলমন্ত্রী যিনি দেশ বিক্রি করতে চেয়েছিল আপনি তো ওনারই সন্তান হেফাজত নেতা মামুনুল হক ডিবিতে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত: আইজিপি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে স্কুলসামগ্রী বিতরণ শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ: ইসি হাবিব ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজের চুক্তি স্বাক্ষর ইসলামী ব্যাংকের মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু ডেপুটি গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংকে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশে বাধা নেই বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে ভারত ভ্রমণে তিনদিনের নিষেধাজ্ঞা ঢাবিতে বিষমুক্ত ফল নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন গোপালগঞ্জের সেপটিক ট্যাংকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ২ শ্রমিক নিহত দিল্লির তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে ভোট বর্জনই বিএনপির আন্দোলন: এ্যানি আফগানিস্তানে বন্যায় ৫০ জনের মৃত্যু

সবার দৃষ্টি ১ কোটি ২৩ লাখ নবীন ভোটারের উপর

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮
  • ২০৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: একদিন পরে কাঙিক্ষত ভোট উৎসব।ইতোমধ্যে প্রচার শেষ হয়েছে।কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌছে যাচ্ছে ব্যালট বাক্স।নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হচ্ছে সারাদেশের ভোটকেন্দ্রগুলো।

সর্বশেষ ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বিএনপিসহ বেশিরভাগ দল বর্জন করেছিল।

এবার সব দল অংশ নেয়ায় সারা দেশে নির্বাচনী আবহ বিরাজ করছে। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলা, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের বিস্তর অভিযোগ করেছে।

পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন (ইসি), প্রশাসন ও পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ রয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির। একই অভিযোগ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টি, বাম রাজনৈতিক মোর্চাসহ আরও কয়েকটি দল।

ফলে এবারের ভোট ঘিরে উৎসবের পাশাপাশি শঙ্কাও বিরাজ করছে। বিএনপি, ২০-দলীয় জোটের শরিক ও ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে নির্বাচন কমিশনে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, এবার ৩০০ আসনে ভোটার ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার। এতে ৪০ হাজার ১৮৩ ভোটকেন্দ্র ও ২ লাখ ৬ হাজার ৪৭৭ ভোটকক্ষ রয়েছে।

এ নির্বাচনে নতুন প্রায় এক কোটি ২৩ লাখ ভোটার প্রথমবার জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবেন। তারা এবার ভোটের আগে প্রচারে সংঘাত সহিংসতা প্রত্যক্ষ করেছে। দেখেছে প্রার্থীদের ওপর কিভাবে নগ্ন হামলা চালানো হয়েছে।

এসব দেশে তরুণ এই ভোটাররা এবার রায় দেবে।শেষ পর্যন্ত তরুণ এই ভোটাররাই এবারের নির্বাচনের ফল নির্ধারণের নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।এজন্য প্রার্থীদের দৃষ্টি নতুন ভোটারের দিকে।

তাদের ধারণা ভয় শঙ্কা মাড়িয়ে ভোটারা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ পেলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়ে উঠবে।সেক্ষেত্রে তরুণ ভোটারটা ফল নির্ধারণে নিয়ামক হয়ে উঠবেন।

এদিকে ১০ বছর পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মুখোমুখি হয়েছে। এবার নিবন্ধিত সব (৩৯টি) রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এক হাজার ৮০০-এর বেশি প্রার্থী।

এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী প্রায় এক হাজার ৭৫০ জন। বাকিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচনে বিপুলসংখ্যক রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী অংশ নেয়ায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সবশেষ জাতীয় নির্বাচন হয়েছে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। ওই নির্বাচন কোনো বিচারেই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়নি। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় দেড় শতাধিক আসনে আগেই ওয়াকওভার পেয়েছিল আওয়ামী লীগ। ফলে নির্বাচনটা ছিল অনেকটা আইওয়াশ।

ওই নির্বাচনের পর দেশে বেশ কয়েকটি সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়। সেগুলোও ত্রুটিমুক্ত হয়নি। ভোটকেন্দ্র দখল, জালভোট-এসব ছিল ওইসব ভোটের চিত্র।

এতসবের পরও প্রায় এক দশক পর এবার একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ভোটের আশা করেছিল দেশবাসী। কিন্তু ভোটের মাঠে সব দল সমতল ক্রীড়াভূমি না পাওয়া এবং বিরোধী দলের প্রার্থীদের ওপর হামলা-প্রচারে বাধা, ভয়ভীতি প্রদর্শন এসব এবারের ভোট-পূর্ববর্তী ভোট উৎসবকে কালিমালিপ্ত করেছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ২০-দলীয় জোটসহ বিরোধী শিবির শেষ পর্যন্ত আশায় ছিল সেনাবাহিনী মাঠে নামলে সমান সুযোগ সৃষ্টি হবে। ধরপাকড় কমবে। ভোটাররা স্বস্তি পাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটিও হয়নি বলে অভিযোগ বিএনপি নেতাদের।

নির্বাচন কমিশন নির্বাচন-পূর্ববর্তী কার্যক্রমে মোটেও যে সফলতার পরিচয় দিতে পারেনি, সেটি শিশু পর্যন্ত বলবে। হাজারো অভিযোগ গেলেও তারা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়ে দায় সেরেছে।

এ বিষয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাখাওয়াত হোসেন বিদেশি একটি গণমাধ্যমে বলেন, বিগত কয়েকটি নির্বাচনী প্রচারের সঙ্গে তুলনা করলে, এবারে একটা ব্যবস্থাপনাহীন প্রচার চলেছে।

প্রচারের সংঘাতের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এবার অব্যবস্থাপনার মধ্যে একটা ক্যাম্পেইন চলছে। এক পার্টি অনেক আগে থেকেই ক্যাম্পেইন শুরু করে দিয়েছে, রুলিং পার্টি। প্রতিপক্ষ পার্টির কিন্তু সে রকম কোনো প্রচার দেখা যায়নি। ক্যাম্পেইন পিরিয়ডে যা হওয়ার কথা নয়, সেসব হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ বলতে যে জিনিসটা আছে, সেটি একেবারে অসাড় হয়ে গেছে। সরকারি টিভিতে একটা প্রোগ্রাম করে যে যার বক্তব্য তুলে ধরত । ২০০৮ সালে এটি হয়েছে। সেই বক্তব্য কিন্তু এবারে দেখছি না। কাজেই সব মিলিয়ে একটা অস্বাভাবিক ক্যাম্পেইন পিরিয়ড আমরা দেখলাম।

বহু আসনে ধানের শীষ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ঠিকমতো প্রচার চালাতে পারেননি। কোনো কোনো আসনে তো খোদ প্রার্থীকেই হামলার শিকার হতে হয়েছে গণসংযোগ করতে গিয়ে। কোনো কোনো আসনে প্রার্থী প্রচারেই নামতে পারেননি মামলা ও হামলার কারণে। আবার ধানের শীষের বেশ কজন প্রার্থীকে জেলে বসেই নির্বাচন দেখতে হচ্ছে।

এগুলো গণতন্ত্রের সৌন্দর্যকে ম্লান করেছে নিঃসন্দেহে। তবু ভোটারদের আশা দিনশেষে ভোট যদি সুষ্ঠু হয়! বেশিরভাগ আসনেই এমন ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে যে, অনেকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজে দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। অনেক ভোটার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন ‘অযথাই’ ভোটকেন্দ্রে যাব কেন?

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: যুগান্তর/এসকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com