বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের সুপারভাইজারী কমিটির ৮৩তম সভা অনুষ্ঠিত ইসলামী ব্যাংকের অডিট বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২ ২ হাজার কোটি টাকার ৬ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন একরামুল-গোলন্দাজসহ দুদকের জালে সাবেক ১০ এমপি শুল্ক গোয়েন্দার ডিজিসহ ৩১ কর্মকর্তা পদে রদবদল দুই শতাধিক কৃষককে ঋণ দিলো এবি ব্যাংক ‘কারাগার থেকে পালানো ৫০০ আসামি এখনও ধরা পড়েনি’ বাংলাদেশ পুলিশের সংস্কারে সহযোগিতা করবে ইতালি জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সীমান্ত খোকনের জানাজা অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের মহাসচিবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ইসরায়েলের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ টাকা চাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩০ তেলের দাম এক লাফে বাড়ল ৪ শতাংশ ঘনঘন বিদেশ সফর: পাউবো’র শ্যামল কী ‘র’ এর এজেন্ট! মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী: হিজবুল্লাহ নজরুল ইসলাম মজুমদার সাত দিনের রিমান্ডে পোশাককর্মী রুবেল হত্যা: সালাম মুর্শেদী দুইদিনের রিমান্ডে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ২ বছর বা তারও কম চান ৫৩ শতাংশ ভোটার হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি বি. চৌধুরী বাংলাদেশে কারখানা তৈরি করে মাছ রপ্তানি করতে চায় চীন

সন্ন্যাসতলীতে বসেছে ঘুড়ির মেলা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
  • আপলোড সময় শনিবার, ১৭ জুন, ২০২৩
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

জয়পুরহাটের সন্ন্যাসতলীর মেলার মূল আকর্ষণ ঘুড়ি। প্রতিবছর দুইদিনের জন্য বসা এই মেলায় অন্য জেলা থেকেও লোকজন ঘুড়ি ওড়াতে আসেন।

মেলার সঠিক ইতিহাস কেউ বলতে না পারলেও সন্ন্যাসী পূজাকে ঘিরে ২০০ বছরের বেশি সময় আগে থেকে এ মেলার উৎপত্তি বলে জানা যায়। সেই থেকে প্রতিবছর বাংলা জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ শুক্র ও শনিবার এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

জয়পুরহাট জেলা শহর থেকে আট কিলোমিটার দক্ষিণে ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর-জিয়াপুর গ্রামের তুলসীগঙ্গা নদীর তীরবর্তী সন্ন্যাসতলায় মন্দিরের পাশে এই মেলা বসে।

মেলা ঘিরে প্রতিবছর এলাকার অর্ধশত গ্রামে বাড়ি বাড়ি জামাই-মেয়েসহ আত্মীয়-স্বজনদের আগমন ঘটে। নানা বয়সী হাজারো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে পুরো মেলাপ্রাঙ্গণ উৎসবের আমেজে ভরে ওঠে।

একদিন আগে থেকেই বিশাল এ মেলাকে কেন্দ্র করে দোকানিরা তাদের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন। এবার বসেছে হরেকরকম ঘুড়ি, বিভিন্ন মৌসুমি ফলমূল, মিষ্টির পসরা। এছাড়া বাঁশের তৈরি রঙিন নানা তৈজসপত্র এসেছে মেলায়।

মেলায় কোনো পুরস্কারের আয়োজন না থাকলেও সবাই মনের আনন্দে অংশ নেন ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসবে। কার ঘুড়ি কত উঁচুতে ওঠে আর কে কার ঘুড়ির সুতা কেটে দিতে পারে, দিনভর চলে সে প্রতিযোগিতা।

মামুদপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাপ-দাদারা এই মেলা করতেন, আমরাও এই মেলায় কেনাকাটা করতে আসি। সন্ন্যাসতলীর মেলা ঘিরে আশপাশের জেলা থেকে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে।

সন্ন্যাসতলীতে বসেছে ঘুড়ির মেলা

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা থেকে মেলায় আসা রিপন কুমার মণ্ডল বলেন, প্রতিবছর এই সন্ন্যাসতলী মেলায় আমরা ঘুড়ি কিনতে আসি। তবে ঘুড়ি ছাড়াও এখানে সব ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। আমি ঘুরি কিনেছি, মাছ ধরার জালও কিনেছি।

সন্ন্যাসতলী মেলা কমিটির সভাপতি মন্টু চন্দ্র বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও মেলা বসেছে। এই সন্ন্যাসতলী মেলার বয়স ২০০ বছর। এই মেলা হিন্দু-মুসলিম সবাই মিলে পরিচালনা করে থাকি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা এই মেলায় আসেন।

মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই সন্ন্যাসতলী মেলার মূল আকর্ষণ ঘুড়ি। এ মেলাকে ঘিরে আশপাশের জেলা থেকে বিপুল পরিমাণ মানুষের সমাগম ঘটে। এটি আদতে সব ধর্মের মানুষের মিলনমেলা হয়ে উঠেছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com