নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেই কার্যালয়ের সামনের সড়ক নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে পূর্ণ হয়েছে। আজ বুধবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রিয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠেয় সমাবেশকে ঘিরে এই উপস্থিতি।
সকাল ৮টা থেকে রাজধানী ও এর আশপাশের জেলা থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। সমাবেশকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মঞ্চও তৈরি করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল থেকে আসা সাইদুর রহমান নামে এক বিএনপি নেতা বলেন, সেখান থেকে অন্তত এক হাজার নেতাকর্মী মঙ্গলবার রাতেই ঢাকা এসেছেন। আজও অনেক নেতাকর্মী আসতে শুরু করেছেন।
এই সমাবেশের মধ্যে দিয়েই রাজপথের আন্দোলনের চূড়ান্ত ধাপ শুরু করতে যাচ্ছে বিএনপি। এলক্ষ্যে নয়াপল্টনের কেন্দ্রিয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠেয় সমাবেশে বিশাল শোডাউন করে সরকার পতনের একদফা ঘোষণা করবে দলটি। ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সফরের মধ্যেই দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবে তারা।
শুক্রবার রাজধানীতে মানববন্ধন বা মানবপ্রাচীরের কিংবা বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্য দিয়ে শুরু হতে পারে আন্দোলনের সিরিজ কর্মসূচি। তবে দলের একটি অংশ একদফার ঘোষণার পর কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে। একদফার পাশাপাশি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফার রূপরেখাও তুলে ধরবে দলটি। বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে থাকা ৩৫টি রাজনৈতিক দলও আলাদা মঞ্চ থেকে একই ঘোষণা দেবে।
জানা যায়, সমাবেশ শুরু হবে দুপুর ২টায়। বিকাল ৩টার দিকে বেশ কয়েকটি দাবি উল্লেখ করে একদফার ঘোষণা দেওয়া হবে।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ ও বিদ্যমান অবৈধ সংসদের বিলুপ্তি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে তার অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি, মিথ্যা-গায়েবি মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েশি সাজা বাতিল এবং সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে রাজপথে বিরোধী রাজনৈতিক জোট ও দলগুলো যুগপৎ ধারায় ঐক্যবদ্ধ বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তোলা এবং সফল করার ঘোষণা প্রদান করছি।’
বাংলা৭১নিউজ/আরএম