বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
৪৭ বছর পর ইসলামী বইমেলায় শিবিরের প্রকাশনী মেরিন ও অফশোর শিল্পে বি‌নিয়োগের আহ্বান : উপদেষ্টা সাখাওয়াত তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ পাচ্ছে আইসিবি, গ্যারান্টার সরকার বিপ্লব উদ্যানের স্থাপনা ভেঙে সবুজ পার্ক করা হবে : চসিক মেয়র নতুন বাংলাদেশ গড়তে সরকার পরিবেশ রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে আগুনে পুড়ে ছাই গোডাউনসহ ১৮ দোকান, ৩ কোটি টাকার ক্ষতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জামায়াতের অভিনন্দন প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে অনুদানের চেক নিলেন ত্রাণ উপদেষ্টা কুষ্টিয়ায় ফিল্মি স্টাইলে ব্যবসায়ীর ৫ লাখ টাকা ছিনতাই ৫ কোটির টেন্ডার পেতে উত্তেজিত বিএনপি নেতা, তত্ত্বাবধায়ক লাঞ্ছিত ঢাকায় চলছে ইলেকট্রিক গাড়ি-বাইক ও মেডিকেল প্রযুক্তির প্রদর্শনী রাজনীতিতে অংশগ্রহণ প্রসারে নেদারল্যান্ডস-সিজিএসের প্রকল্প অক্টোবরে সীমান্তে ভারত ও মিয়ানমারের ১৩২৬ নাগরিক আটক আফরোজা আব্বাসের প্রচারে হামলার ঘটনায় মহিলালীগ নেত্রী গ্রেপ্তার পাল্টা ৩ প্যাকেজ ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সি মালিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশিকে ফেরত দিলো আরাকান আর্মি সংস্কারের জন্য সবার কাছ থেকে পরামর্শ আসতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার কেলান্তান রাজ্যে ৪৮ বাংলাদেশি আটক সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত এবার হত্যার হুমকি দেওয়া হলো শাহরুখ খানকে

সংস্কারের জন্য সবার কাছ থেকে পরামর্শ আসতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১১ বার পড়া হয়েছে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘বিপ্লবের ফসল আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য প্রয়োজনীয় সব সংস্কার করতে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির সকল প্রয়াস নিতে প্রস্তুত রয়েছে। এই কাজে নিবেদিত সবার কাছ থেকে চাহিদা, পরামর্শ আসতে হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার ‘বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যানের শতবর্ষ উদযাপন : ঢাকার উত্তরাধিকার’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগ এবং ঢাবির সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ ইন ন্যাচারাল সায়েন্সেস দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করেছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ১৯২৪ সাল অনেক পেছনে রেখে এসেছি। কালের পরিক্রমায় বসুর আবিষ্কারটি কি এতটুকু ম্লান হয়েছে? পদার্থবিদরা বলছেন মোটেই না। যার প্রমাণ এই আবিষ্কারের ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্য প্রমাণ করে সৃষ্ট বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে ২০০১ সালে। এ নিয়ে গবেষণা চলছেই।

শুনেছি তার কিছু ভগ্নাংশ এখনো কার্জন হলে আছে। আর তিনি রইলেন আমাদের ঢাকা শহরের হয়ে সেদিনের ছোট্ট সাদামাটা ঢাকা শহরের। এখানে তিনি শুধু কঠিন তাত্ত্বিক বিজ্ঞানী ছিলেন না, ছিলেন শহরের সংস্কৃতিবান গণ্যমান্য নাগরিক, যিনি তাঁর এসরাজ বাজনার জন্যও কদর পেতেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষার সর্বস্তরে বিশেষ করে উচ্চতর বিজ্ঞান শিক্ষায় বাংলা ভাষা প্রচলনের জন্য তর্ক-বিতর্ক করছেন। বাংলায় বই লিখছেন।

পত্রিকা বের করছেন। নিজের পাঠদানে বাংলা ব্যবহার করছেন। শহরের সাহিত্যানুরাগী সংস্কৃতিসেবীদের কয়েকজনকে নিয়ে নিয়মিত বৈঠকি আড্ডা গড়ে তুলেছেন। সেদিনের বৃক্ষশোভিত সবুজ রমনায় যে বহু লাল ইটের টালির ছাদের বাড়ি ছিল, সবাই চিনত কার্জন হলের পাশে তারই একটা বোস সাহেবের।কেন জানি ঢাকার সাধারণ মানুষ তাঁকে বোস সাহেব বলেই ডাকত। মাঝে মাঝে একটি ঘোড়ার গাড়ি এসে থামত। তখন ওটিই ঢাকার প্রধান যানবাহন। সপরিবারে বোস সাহেব যেতেন নওয়াবপুরে মুকুল থিয়েটারে নাটক দেখতে।’
তিনি বলেন, ‘পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তখনকার ঢাকার সঙ্গে বসুর ঢাকারই মিল বেশি ছিল আজকের ঢাকার থেকে। কাজেই পরিবেশটি বেশ কল্পনা করতে পারি ঢাকার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের।

সেই শান্ত ছোট শহরকে সেই সবুজ রমনাকে আর ফেরত আনা যাবে না। কিন্তু সেই গৌরবের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা অবশ্যই ফেরত আনতে পারি আজকের স্বাধীন বাংলাদেশে। বোস-আইনস্টাইন তত্ত্বের শতবার্ষিকীতে এ কথা আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘আজ বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষকসমাজ তাঁদের চিন্তার স্বাধীনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চাকে আবার ফিরে পেয়েছেন। এর সঙ্গে এখন বিশ্ববিজ্ঞানে অবদান রাখার সক্ষমতাকেও যোগ করতে হবে। আকাঙ্ক্ষাকে উচ্চে রেখে দৈনন্দিন পঠন-পাঠন গবেষণার মাধ্যমেই সেটি অর্জিত হয়। ১৯২৪ সালে বসুর আবিষ্কারের পরিবেশ ওভাবে গড়ে উঠেছিল। আজও সেভাবেই গড়ে উঠবে। এর কোনো বিকল্প নেই। বিদ্যার জগতের সবাইকে ওতে আহ্বান জানাই।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘বিপ্লবের ফসল আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সব সংস্কার করতে এর উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির সব প্রয়াস নিতে প্রস্তুত রয়েছে। এই কাজে নিবেদিত সবার কাছ থেকে চাহিদা ও পরামর্শ আসতে হবে। নিজের ওপর আস্থা থাকলে এটি আমরা পারব। যেমন আস্থা বসুর ছিল বলে তিনি সম্পূর্ণ অপরিচিত হয়েও আইনস্টাইনকে লিখতে পেরেছিলেন। 

তিনি বলেন, ‘সব সময় আমাদের মনে এ আস্থা ও বিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে যে আমাদেরই যেন বিশ্বের কাছে যেতে না হয়, বিশ্ব যেন আমাদের কাছেও আসে। আমাদের তরুণদের মনে বিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে যে আমরাই বিশ্ব। আজ আমরা সেই আকাঙ্ক্ষারই শতবার্ষিকী পালন করছি।’

বাংলা৭১নিউজ/এসকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com