বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপি কোন সংলাপে যাবে না। আমরা কোন সংলাপ চাইনি। আমরা চেয়েছি সরকারের পদত্যাগ।
সোমবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবদল আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, যুব দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, গোলাম মোস্তফা সাগর, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, দফতর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন মামুন প্রমুখ।
এ সময় মির্জা আব্বাস বলেন, এই দানবীয় সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। আর যারা নির্বাচনে যেতে চান বা যাবেন তাদের কারো পা আস্ত থাকবে না।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা রাজনৈতিক আচরণ শিখুন। মানুষকে সম্মান দিয়ে কথা বলুন, মানুষের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। আমাদের নেত্রী তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কিন্তু কখনোই আজকের প্রধানমন্ত্রী বিরুদ্ধে খারাপ কথা বলেননি।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, আমাদের যুদ্ধ এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে নয়, আমাদের যুদ্ধ এখন পুলিশের সাথে।
তিনি বলেন, পুলিশের উন্নয়নের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। পুলিশের উন্নয়ন হবে পুলিশের সন্তানরা ভালো থাকবে ভালো খাবে, এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু ওই জায়গায় যদি পুলিশকে ঘুষ দেওয়া হয়, আওয়ামী লীগের কর্মচারীর মতো ব্যবহার করা হয়, তাহলে আমাদের আপত্তি রয়েছে। পুলিশকে পুলিশের আচরণ করতে হবে। আমরা ট্যাক্স দেই, আপনি গণতন্ত্র প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, আপনি আওয়ামী লীগের কর্মচারী নন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা সবসময় বলেন জিয়াউর রহমান নাকি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি নাকি পাকিস্তানের চর ছিলেন; তাহলে ৭২’ সালে ক্ষমতায় ছিল কারা?
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ