বাংলা৭১নিউজ, মোঃ মনসুর আলী, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘিতে ধানকাটা শ্রমিক সংকট ও মজুরী বৃদ্ধিতে চলতি ইরি-বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পরেছে স্থানীয় কৃষকরা। চলতি মাস বৈশাখের প্রথম থেকে ঝড় শিলাবৃষ্টিসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারনে মৌসমের ইরি-বোরো ধান নিয়ে এলাকার কৃষক দুচিন্তায় পরেছে। স্থানীয় কৃষি আফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এবার প্রায় সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষ হয়েছে।
গত কয়েক দিনের দুর্যোগপূর্ণ আবহায়ার ও ঘন ঘন বৃষ্টিপাতের কারনে ইতিমধ্যেই এবার আগাম কাটা মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এবার ঝড়ে জমির ধান মাটিতে পরে যাওয়া ও নীচু জমিতে বৃষ্টির পানিতে ঢুবে যাওয়ায় এবার ধানের ফলন বিপর্যয় ঘটেছে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানিছেন। উপজেলার কায়েত পাড়ার কৃষক ছাহের আলী ও শফির আলী জানান, এবার আগাম লাগানো ধানের ফলন ভালো হলেও ঝড়ে পরে যাওয়া ও পানিতে ঢোবা ধানের ফলন খুব কম হচ্ছে।
গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিতে উপজেলার রক্তদহ বিলে এবং বিলপারের আশপাশ নীচু এলকার মৌসুমীর প্রায় ৫০০ হেক্টর ইরি-বোরোর আধাঁ পাকা ধান পানির নীচে তলিয়ে গাছে। এতে আদমদীঘি উপজেলার নীচু এলাকার কদমা, করজবাড়ি, গনিপুর, দমদমা, প্রসাদখালী, সান্দিড়া, ছাতনি, ঢেঁকড়া, ডাঙ্গাপাড়াসহ প্রায় ১৫/ ২০ গ্রামের কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের তলিয়ে যাওয়া কাচা ধান কাটার পর শ্রমিকে মজুরি পর্যন্ত উঠছেনা।
ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পরেছে। এছারাও দুর্যোগপৃর্ণ আবহাওয়া ঝড়ে জমিতে ধান পরে যাওয়া ও জমিতে পানি জুমে থাকায় শ্রমিকের মজুরী বেড়ে যওয়া এবং মমিক সংকোটের ফলে এলকাকার কৃষকরা তাদের ধান নিয়ে দুচিন্তায় পরেছে। এছাড়াও পিয়াজ মরিচ লালসাগ ঢেরোষ কলমিসাগসহ সবজি চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন ধান ও সাকসবজির ক্ষতি হয়েছে। যে বৃষ্টি হয়েছে এর চেয়ে আরোও বেশী হলে ক্ষতির পরিমান ব্যাপক আকার ধারন করবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস