বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: দলের কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হয়েছে ‘এক নেতার এক পদ’ নীতি কার্যকরের। ওই সিদ্ধান্তে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা খুশি হলেও একাধিক পদ আগলে রাখা নেতারা নাখোশ হন। অবশ্য ইতিমধ্যে অনেকে পছন্দের পদ রেখে বাকিগুলো ছেড়ে দিয়ে। এখনো নানা অজুহাত দেখিয়ে একাধিক পদ ধরে রেখেছেন ১৬ জন নেতা।
তবে শেষ রক্ষা হচ্ছে না একাধিক পদে আছেন এমন নেতাদের। দলের চেয়ারপারসনের নির্দেশে ইতিমধ্যে কেন্দ্র থেকে একাধিকবার তাগাদা দেয়া হয় পদ ছাড়তে। ১৬ অক্টোবরের মধ্যে পদ ছাড়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে চিঠিও দেয়া হয়েছে। কিন্তু এত সব চেষ্টা আমলে নেননি অনেকে। তাই এবার একাধিক পদ ছাড়াতে কঠোর পন্থায় যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি একাধিক পদধারী কয়েকজন যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদককে ডেকে পছন্দের পদ রেখে বাকি পদ ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেন খালেদা জিয়া। অন্যদেরও শিগগিরই এমন নির্দেশ দেয়া হবে। এরপরও যারা পদ ছাড়বেন না, তাদের ব্যাপারে নিজেই সিদ্ধান্ত দেবেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
জানা গেছে, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ নতুন কমিটির ৪৫ জন নেতা এখন পর্যন্ত একাধিক পদ ছেড়েছেন।
এখনো যারা একাধিক পদে আছেন তারা হলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস (ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক),ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু (কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক), আলতাফ হোসেন চৌধুরী (পটুয়াখালী জেলার সভাপতি), যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল (ঢাকা মহানগরের সদস্যসচিব), মজিবর রহমান সরোয়ার (বরিশাল মহানগরের সভাপতি), খায়রুল কবির খোকন (নরসিংদী জেলার সভাপতি), আসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আহ্বায়ক), সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু (লালমনিরহাট জেলার সভাপতি), অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু (নাটোর জেলার সভাপতি), ফজলুল হক মিলন (গাজীপুর জেলার সভাপতি), নজরুল ইসলাম মঞ্জু (খুলনা মহানগরের সভাপতি)।
এদিকে একাধিক পদ যারা ছেড়েছেন, তাদের বড় অংশই কেন্দ্রের দায়িত্ব ছেড়ে জেলায় থাকার কথা জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ কাউন্সিল করে জেলার নেতৃত্ব ছাড়ার কথা বলছেন। এ নিয়েও বিব্রত বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।
জানতে চাইলে মজিবুর রহমান সরোয়ার বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একাধিক পদ ছেড়ে দিতে হবে। আমিও ছাড়ব। তবে সম্মেলন করে নতুন নেতৃত্বের কাছে দায়িত্ব দিয়ে আসতে চাই।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন,‘যেকোনো মূল্যে এক নেতার এক পদ নীতি কার্যকর করা হবে। কারণ এটা কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত। অনেকে ইতিমধ্যে একাধিক পদ ছেড়ে দিয়েছেন। আশা করি বাকিরাও দ্রুত পছন্দের পদ রেখে অন্যটা ছেড়ে দেবেন।’
বাংলা৭১নিউজ/সি