রাজধানীতে সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। বেলা বাড়তে মেঘ অনেকটাই কেটে উঁকি দেয় সূর্য। শ্রাবণের দুপুরে দেখা যায় কড়া রোদ। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে স্বস্তি ভাবটা কেটে গিয়ে ভ্যাপসা গরমে নাভিশ্বাস ওঠে নগরবাসীর।
তবে বিকেলের দিকে আবারো ঢাকার আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখা যায়। শেষ বিকেলের রোদ মুছে যায় মেঘের আধিপত্যে। বিকেল ৫টার দিকে অফিসফেরত মানুষ যখন ঘরমুখী, ঠিক তখনই শুরু হয় বৃষ্টি। তুমুল বৃষ্টি চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত।
টানা প্রায় দেড় ঘণ্টার বৃষ্টি গরমে স্বস্তি আনলেও বিপাকে পড়েন অফিসফেরত মানুষরা। অনেকেই বৃষ্টিতে ভেজা থেকে বাঁচতে সড়কের পাশের মার্কেট, দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনার নিচে আশ্রয় নেন। কেউ কেউ কাকভেজা হয়েই ঘরে ফিরেছেন।
বৃষ্টিতে কোনো কোনো সড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের। আবার কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে যানবাহন সংকট। গুলিস্তানসহ বিভিন্ন স্থানে বিপুলসংখ্যক মানুষকে রাস্তায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
শ্রাবণ মাস চললেও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর (বর্ষা) নিষ্ক্রিয়তায় এখন বৃষ্টি অনেকটাই কম। আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার ৯টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
বৃহস্পতিবার রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, দিনাজপুর, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ