রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
অভ্যুত্থানে ১০৫ শিশু নিহত, প্রত্যেক পরিবার পাচ্ছে ৫০ হাজার টাকা ক্রিকেটার ছদ্মবেশে শ্রমিক নেওয়ার অভিযোগে ২১ বাংলাদেশি আটক ইসরায়েলি হামলা হলে জবাব দিতে পরিকল্পনা প্রস্তুত ইরানের সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব আমিনুল গ্রেপ্তার অনুমাননির্ভর কোনো কথা বলতে চাই না: সাখাওয়াত হোসেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার প্রশ্ন সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নিতে পারবেন শেখ হাসিনার সাবেক মুখ্য সচিবের ৭ দিনের রিমান্ড হেলেনা জাহাঙ্গীর-রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক ডিজি লাকীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা সামোয়া উপকূলে ডুবল নিউজিল্যান্ডের নৌবাহিনীর জাহাজ ২৩ দিনের জন্য বান্দরবান ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন, ৬২৭ মামলায় জরিমানা ২৬ লাখ দেশে ফিরলেন বিএনপি নেতা টুকু নেত্রকোনায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, রেললাইনে উপচে যাচ্ছে পানি রাজশাহীর সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ গ্রেফতার এবার কলকাতার রাস্তায় দেখা মিলল ঢাকার আলোচিত কাউন্সিলর আসিফের ঠাকুরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন ফের নামঞ্জুর ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী যুবলীগ নেতা শাকিল অস্ত্রসহ গ্রেফতার সেনাবাহিনীতে সৎ-নীতিবান অফিসাররাই পদোন্নতির দাবিদার: প্রধান উপদেষ্টা

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ৭ জনের মৃত্যু

শেরপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে নদ-নদীর পানি। লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। রোববার (৬ অক্টোবর) সকালে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ে বন্যায় ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসনসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিজিবি। এছাড়া গতকাল সকাল থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধারকাজে যুক্ত হয়েছেন।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, শনিবার রাত থেকে নতুন করে শেরপুর সদর এবং নকলা উপজেলার আরও ৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় শেরপুরের মহারশি, সোমেশ্বরী, চেল্লাখালি, ভোগাই ও মৃগী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে শেরপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে।

এখন পর্যন্ত শেরপুরের ৫টি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আর পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। ঝিনাইগাতী এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার সব সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

কৃষি অফিসের তথ্যমতে, বন্যায় জেলার অন্তত ৩০ হাজার হেক্টর আমন আবাদ এবং এক হাজার হেক্টর সবজির আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে অন্তত ৭০ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

শেরপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার কর্মকার বলেন, শুধু ঝিনাইগাতী এবং নালিতাবাড়ী উপজেলায় ২ হাজার ৫৭টি মাছের ঘের ভেসে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিক হিসাবে ১১ কোটি টাকার বেশি।

নকলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, বন্যার পানিতে ডুবে সর্বশেষ শনিবার রাতে নকলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলায় পাঁচ জন ও ঝিনাইগাতীতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুম রানা বলেন, নালিতাবাড়ীতে আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে ১২৩টি। এর মধ্যে ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে বেশি ক্ষতি হয়েছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, পানিবন্দি মানুষদের সঠিকভাবে উদ্ধার করতে সফল হয়েছি। অনেককে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি এবং শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উপজেলার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, জেলার বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দুর্গতদের উদ্ধারে ও শুকনো খাবার পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। একইসঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাচ্ছি।

বাংলা৭১নিউজ/এআরকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com