বাংলা৭১নিউজ, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরে বড় মাঠে দৌড়ঝাপ, খেলাধুলা, নাচ-গানে অন্যরকম একটি দিন পার করলো অটিজম শিশুরা। মঙ্গলবার বিকেলে শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্রীড়া ও আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেছিলো বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এসব শিশুরা। সুযোগ পেলে অটিজম শিশুরাও যে মেধার স্বাক্ষর রাখতে পারে তার প্রমাণ মিললো খোলা কন্ঠে গাওয়া গান আর নৃত্যে।
জেলা ক্রীড়া অফিস বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় এ ক্রীড়া ও আনন্দ উৎসবের আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন সস্ত্রীক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অটিজম শিশুদের এ আনন্দ উৎসবকে বর্ণিল করে তোলেন। অটিজম শিশুদের উৎসাহ যোগাতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জীবন কৃষ্ণ বসু এবং জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা ও লেডিস ক্লাবের কর্মকর্তারা।
আনন্দ উৎসবের শেষ পর্যায়ে জেলা প্রশাসক ও অতিথিরা সকল অটিজম শিশুর হাতে পুরস্কার তুলে দিলে শিশুরা আপ্লুত হয়ে ওঠে এবং নানা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে।
জেলা ক্রীড়া অফিসার দীরেন্দ্র চন্দ্র সরকার জানান, অটিজম শিশুদের নিয়ে কাজ করা জেলার ৬টি প্রতিষ্ঠানের ৬০ জন অটিজম শিশু এ ক্রীড়া ও আনন্দ উৎসবে অংশগ্রহণ করে।
শেরপুর প্রতিবন্ধি সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি বজলুর রশিদ নাহাজ বলেন, অটিজম শিশুরা খেলাধুলা ও আনন্দ-বিনোদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকে। এ ধরনের উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। এখানে অটিজম শিশুরা বছরের অন্তত: একটি দিন হলেও নিজের মতো করে কাটানোর সুযোগ পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে অটিজম শিশুদের অভিভাবক এবং শিক্ষক-সংগঠকরাও উপস্থিত থেকে এ আনন্দযজ্ঞে শরীক হন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস