দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং আরেক শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে টানা দুই কার্যদিবস পতনের মধ্যে থাকল দেশের শেয়ারবাজার। আর চলতি সপ্তাহের চার কার্যদিবসের মধ্যে তিনদিনই শেয়ারবাজারে পতন অব্যাহত থাকল।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরুতে মূল্য সূচক কিছুটা বাড়লেও, দেড় ঘণ্টার মধ্যে পতন শুরু হয়। দাম কমতে থাকে লেনদেনে অংশ নেয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১০১ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে পতনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৪১টি। আর ১০২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৩ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২৫ পয়েন্ট কমে সূচকটি ২ হাজার ১২০ পয়েন্টে নেমে গেছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্য সূচক পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৮৬৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৯৯৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এ হিসেবে লেনদেন কমেছে ১৩১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ২৫৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মার ৮০ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৬৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর।
ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে ডিএসইতে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, রবি আজিয়াটা, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, সামিট পাওয়ার, বিডি ফাইন্যান্স এবং রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স।
এদিকে, সিএসইর সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৬৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৪০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৭টির এবং ৫৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এমএন