সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন শহিদুল ইসলাম।
এছাড়া আসামি জাবিদ হাসান লাকি অসুস্থতাজনিত কারণে অনুপস্থিত থাকায় জেরা করেননি আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আগামী ১৯ জুলাই পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য্য করা হয়েছে।
আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২), অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু এবং অ্যাড. শাহানারা পারভিন বকুল। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি অ্যাড. মোহম্মদ হোসেন, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, অ্যাড. নিজামউদ্দিন প্রমুখ।
সাতক্ষীরা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. আব্দুল লতিফ জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দিনে একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি কলারোয়ার শহিদুল ইসলাম। এছাড়া এ মামলায় নয় জন আসামি পলাতক রয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুল মজিদ বলেন, ৪০ জন আসামির মধ্যে জাবিদ হাসান লাকী অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পেছানোর আবেদন করেছিলাম। এমতাবস্থায় শহিদুল ইসলামের সাক্ষ্যে আমরা জেরা করা থেকে বিরত ছিলাম।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরায় এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে আসেন। এখান থেকে যশোর যাবার পথে বেলা ১১টায় বিএনপির নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে গোলাগুলি করে ও বোমা হামলা শুরু করে। এতে প্রায় ১৫ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় করা মামলায় সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতাকর্মীকে চার থেকে দশ বছরের মধ্যে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এবি