মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের শূন্য রেখায় (মুক্তিযোদ্ধা স্কয়ার) হয়ে গেলো বাংলদেশ ও ভারতের বাংলা ভাষাপ্রেমীদের সম্প্রীতির মিলন মেলা।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দুই দেশের ভাষাপ্রেমীরা অস্থায়ী বেদীতে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
হিলি সীমান্তের চেকপোস্টে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, হিলি পৌরসভা ও সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত এবং ভারতের বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটি ও বালুরঘাট-মেঘালয় কড়িডোর কমিটি, রেইনবো সোসাইটি এই ভাষা দিবসের আয়োজন করে। পরে দুই দেশের শিল্পীরা আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কবিতা, নৃত্য ও গান পরিবেশন করেন।
ভারতের বালুরঘাট রেইনবো সোসাইটি কর্ণধার শুভঙ্কর সাহেব রায় ও সদস্য অন্যন্যা পাহান নৃত্য পরিবেশন করেন।
প্রতি বছর বড় পরিসরে দুই বাংলার মিলনমেলা হলেও এবার ছোট পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান আয়োজন কমিটি।
অনুষ্ঠানে ভারতের বালুরঘাট, মালদা ও কলকাতা থেকে ১৪ জনের দল অংশ নেয়। দলটিতে শিল্পী ও কবি-সাহিত্যিকরা ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হিলি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত। অনুষ্ঠানে প্রশাসনের কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ, পৌরসভা, স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন, সামাজিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংবাদকর্মীরা অংশ নেন।
ভারতের বালুরঘাট উজ্জিবন সোসাইটি সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্তাহিক উত্তরে রোববার পত্রিকার প্রকাশক সুরজ দাস বলেন, ‘হিলি শূন্যরেখায় ভারত-বাংলাদেশ মিলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আয়োজন করা হয়।
রেইনবো কালচারাল একাডেমী কর্ণধার শুভঙ্কর সাহেব রায় বলেন, ‘আমার খুব ইচ্ছে ছিল বাংলাদেশ এসে বাংলা ভাষা উদযাপন করবো। আজ আমি সার্থক। আমি আশা করি প্রতিকূলতা কাটিয়ে মাতৃভাষাকে বুকে লালন করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
রেইনবো কালচারাল একাডেমির সদস্য মঙ্গলা শীল বলেন, ‘আমার বাবার মুখে বাংলাদেশর অনেক কথা শুনেছি। খুব ইচ্ছে ছিল।আজ বাংলাদেশে এসে বাংলা ভাষার পালন করতে পেরে গর্বিত হচ্ছে।আমি খুশি।’
হিলি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী বলেন, সকালে অস্থায়ী শহিদ বেদীতে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এরপরে ছোট পরিসরে আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি, ছড়া, গল্প অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিনের কার্যক্রম শেষ হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ