অন্তত একটা ম্যাচ জয়ের কথা বলেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জোতি। প্রথম তিন ম্যাচে শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের কাছে বাজেভাবে হারের পরও আশা দেখিয়েছিলেন টাইগ্রেস অধিনায়ক।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতে বিশ্বকাপ শেষ করার ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু স্বাগতিকদের বিপক্ষে নিজেদের বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি বাংলাদেশ। ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরে শূন্য হাতে বিশ্বকাপ শেষ করলো বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জয় কেবল শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। সেটাও ঘরের মাঠে ২০১৪ সালে। এরপর গত তিন বিশ্বকাপে ১২ ম্যাচে কোনো জয় নেই। এবার পরাজয়ের তালিকা ১৬-এ পৌঁছে গেছে।
মঙ্গলবার রাতে কেপটাউনে স্বাগতিকদের আতিথেয়তা নিয়েছিল বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের ইনিংস ছিল একদমই সাদামাটা। ৬ উইকেটে কেবল ১১৩ রান উঠাতে পারেন মেয়েরা। লক্ষ্য তাড়ায় কোনো সুযোগ না দিয়ে ১০ উইকেটে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৩ বল আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা।
বিশ্বকাপে এবার ব্যাটসম্যানরা বেশ ভুগেছে। শেষ ম্যাচেও ব্যর্থতার খোলস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি তারা। ওপেনিংয়ে মুর্শিদা খাতুন রানের খাতা খোলার আগেই আউট। শামীমা সুলতানার ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। তিনে নামা শোবহানা মোস্তারি ও নিগার সুলতানার ব্যাটে প্রতিরোধ পায় বাংলাদেশ। কিন্তু তারা কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। শোবহানা ২৭ ও নিগার সর্বোচ্চ ৩০ রান করে আউট হন।
পরের ব্যাটসম্যানরাও ভালো করতে পারেননি। শেষ দিকে নাহিদা আক্তারের ১১ বলে ১৫ রানের ইনিংসে বাংলাদেশের দলীয় পুঁজি একশ পেরিয়ে যায়। বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মারিঝানি কাপ ও আয়াবোঙ্গা খাকা।
লক্ষ্য তাড়ায় দুই ওপেনার ফিফটি তুলে খেলা শেষ করে দিয়েছেন। ৫৬ বলে ৬৬ রান করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন লউরা উলভারাত। ৫১ বলে ৫০ রান করেছেন তাজমিন ব্রিটস।
অধিনায়ক নিগার সুলতানা ৫ বোলার ব্যবহার কররেও কেউ ব্রেক থ্রু এনে দিতে পারেননি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ