সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১৮ এপ্রিল) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন দেখা গেছে। সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি প্রায় ১৫০ প্রতিষ্ঠানের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়েছে।
দিনের শুরুতেই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনে ৮৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। আর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৬০ পয়েন্টের বেশি কমেছে। লেনদেন হয়েছে ১০০ কোটি টাকার কিছু বেশি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। সেই সঙ্গে সূচকের বড় পতন হয়েছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরুর ১০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ২০ পয়েন্ট কমে যায়।
লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পতনের মাত্রা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৪২ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের তুলনায় ৭৪ পয়েন্টে কমেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২৮ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমেছে।
এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ২৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩১৩টির। আর ১৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১২৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
দাম কমার তালিকায় স্থান করে নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রায় ১৫০ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দিনের সর্বনিম্ন দামে নেমে গেছে। এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা এই সর্বনিম্ন দামে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট বিক্রির আগ্রহ দেখালেও ক্রেতার ঘর শূন্য হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, সিএসই’র সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮২ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৯৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩টির, কমেছে ৭৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টির।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ