অতি শীঘ্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের যৌথ ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান বিএনপির মহাসচিব।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে দমন করার জন্য গত ১৪ বছর ধরে তারা একই কায়দায় সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ করছে, হত্যা করছে, নির্যাতন করেছে, গ্রেফতার করছে ও মিথ্যে মামলা দিচ্ছে। বিশেষ করে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট ব্যবহার করে তারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, সংবাদ মাধ্যমের যে স্বাধীনতা এটা তারা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির সাথে বৈঠকে বিশেষ করে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট বাতিল করার বিষয়ে একমত হয়েছেন বলে জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, চলমান আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সাথে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে কিভাবে সম্পর্ক উন্নয়ন, আরো দৃঢ় করা যায় এবং আন্দোলন সংগ্রামকে সামনে এগিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে। আশা করি যুগপৎ কর্মসূচির আন্দোলন আরো বেগবান হবে। অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের সংখ্যা আরো বাড়াতে পারবো এবং আন্দোলনকে আরো বেগবান করে এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকারকে প্রতিষ্ঠা করতে পারব।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা একমত এই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশ নেব না।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চের সাথে আমাদের কোন ছন্দপতন নেই। অনেক কর্মসূচি আছে এটা যার যার দল থেকে করতে পারেন। আবার গণতন্ত্র মঞ্চের ব্যানারেও করতে পারেন। মূল দাবি অর্থাৎ এই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবি একই সঙ্গে রাষ্ট্রের যে সংস্কারের কথাগুলো রয়েছে সে দাবিগুলোতে আমরা একমত রয়েছি।
বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
অপরদিকে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ