বাংলা৭১নিউজ,সিলেট অফিস: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ আব্দুল্লাহ আল রনি ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলোজি বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী। তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পার্শ্ববর্তী সাতকরা রেস্টুরেন্টে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজের অনুসারীদের সঙ্গে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, রাতে ময়মনসিংহ অ্যাসোসিয়েশন নামক একটি আঞ্চলিক সংগঠনের মিটিং করছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম। এ সময় বিভিন্ন অভিযোগে সাঈদ-সবুজের অনুসারী জুয়েম, মোস্তাক, অন্তু, দোলন, লক্ষণ ও বাসিরের নেতৃত্বে তার ওপর হামলা করে। তাদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে তারিক ছয় রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এর মধ্যে একটি গুলি রনির শরীরে লাগে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
আবু সাঈদ আকন্দের অনুসারী সহ-সভাপতি সৈয়দ জুয়েম বলেন, তারিকুল দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসা করে আসছে। সে ছাত্রদল কর্মীদের আশ্রয়দাতা। আমরা তাকে বিষয়গুলো বলতে গেলে সে আমাদের ওপর গুলি ছোড়ে। আমরাও প্রতিরোধ করি। তার গুলিতে রনি নামক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
তবে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম বলেন, আমি ময়মনসিংহ অ্যাসোসিয়েশনের মিটিং করছিলাম জুনিয়রদের নিয়ে। এ সময় সাঈদ-সবুজের প্রত্যক্ষ নির্দেশে তাদের অনুসারী জুয়েম, মোস্তাক, অন্তু, দোলন, লক্ষণ, হিমেল, মুনকীরসহ অন্তত অর্ধশত জুনিয়র আমার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। আমাকে রক্ষা করতে গিয়ে আমার এলাকার এক ছোট ভাই গুলিবিদ্ধ হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহপরান হল প্রভোস্ট শাহেদুল হোসাইন বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জুনিয়র কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী বলেন, আমাদের বর্তমান কমিটির মেয়াদ সাড়ে তিন বছর আগেই শেষ হয়েছে। বার বার দাবি করার পরও কমিটি দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। মূলত কমিটি না দেয়ার কারণে সবার মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ৮ মে এক বছর মেয়াদে শাবি ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি গঠন করা হয়েছিল। যার মেয়াদ ২০১৪ সালের ৮ মে শেষ হয়।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস