বাংলা৭১নিউজ, শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে এবার বোরো ধানে বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়া থাকা সত্ত্বেও বোরো ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকে মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। যা এখন সোনালী স্বপ্নে পরিনত হয়েছে। ধান কাটায় কৃষকরা এখন ব্যাস্ত সময় পার করছে। আর কৃষানীরা তাদেরকে পূর্ণ সহযোগিতা করছে।
শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার ৬টি উপজেলায়ই কম বেশী ধানের চাষ হয়। এ বছর অত্র জেলায় ২৮ হাজার ৪শত ২৩ হেক্টর জমিতে ধান চাষের জন্য লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তার মধ্যে শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ৫ হাজার ৯শ ৯০ হেক্টর, নড়িয়া উপজেলায় ৬ হাজার ১শ ৫২ হেক্টর, জাজিরা উপজেলায় ১ হাজার ৩শ হেক্টর, ডামুড্যা উপজেলায় ৪ হাজার ৩শ ৪২ হেক্টোর, ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ৫ হাজার ১শ ৪৫ হেক্টর এবং গোসাইর হাট উপজেলায় ৫ হাজার ৪শ ৯৪ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলার স্বর্ণঘোষ গ্রামের ধান চাষী সাগর সিকদার বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর আমাদের ধান ভালো হয়েছে। তবে কছু ধান ঝরে ভেঙ্গে পরেছে। আশা করছি ধান চাষ করে এ বছর লাভবান হব।
সদর উপজেলার ধানুকা গ্রামের ধান চাষী আনিছুর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর আমাদের ধানের ফলন ভাল হয়েছে। কৃষি অফিসের মাধ্যমে ধান চাষের উপর আমাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং সেই প্রশিক্ষণকে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পেরেছি বলেই ধানের ফলন ভাল হয়েছে।
সদর উপজেলার কুড়াশী গ্রামের ধান চাষী লাল চাঁন সরদার বলেন, এ বছর আমি ধান চাষ করে মনে হচ্ছে লাভবান হব। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া না থাকলে শতাংশ প্রতি যদি আমরা ১ মন ধান ঘরে তুলতে পারি তাহলে লাববান হব।
নড়িয়া উপজেলার বিঝারী গ্রামের ধান চাষী মাহবুব আলম বলেন, এ বছর ধানের আবাদ ভাল হলেও ধানে পোকা মাকড়ের অক্রমণ হতে রক্ষা পেতে প্রচুর টাকার কীট নাশক ব্যবহার করতে হয়েছে এবং কৃষি অফিসের স্যারেরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলার সাজনপুর গ্রামের ধান চাষী মোঃ রুমান ঢালী বলেন, ধানের ভাল ফলন হয়েছে এ কথা যেমন সত্য, তেমনি শংকায়ও রয়েছি। যদি ভাল বাজার মূল্য না পাই, তাহলে ধান নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছি, তা বাস্তবে প্রতিফলিত না হয়ে দুঃস্বপ্নেই পরিণত হবে।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ কবির হোসেন বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর শরীয়তপুর জেলায় ধানের আবাদ ভাল হয়েছে। কৃষকরা ধান চাষে যাতে বেশী উৎসাহী হয় সে জন্য উন্নত বীজ প্রদান সহ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।
তিনি আরো বলেন, সরকারী ভাবে ধান চাষীদেরকে সঠিক ভাবে তদারকীর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ফলে আমাদের লক্ষ্য মাত্রার চেয়েও বেশী ফলন হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে কৃষকদের চোখে মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেইউ