বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পুলিশের জ্যাকেট পরে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে সাংবাদিক সজীবকে সিলেটের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে রংপুর রিজার্ভ চুরির অর্থ দেশে ফেরাতে ফিলিপাইনের সহযোগিতা চাইলেন রাষ্ট্রপতি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে কমিশন বদ্ধপরিকর: সিইসি ছাত্রশিবিরের নতুন কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেলেন ১২ কর্মকর্তা ১৯ জন উদ্ধার না হতেই ফের ৭ অপহরণ! স্লোগানে উত্তাল শহীদ মিনার, শেখ হাসিনার ফাঁসি দাবি নতুন বছরে দেশবাসীর জন্য তারেক রহমানের বার্তা ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে শামীমের লড়াই, তবু খুলনার কাছে হার চট্টগ্রামের দেশ কোনো দলকে ইজারা দেওয়া হয়নি : ধর্ম উপদেষ্টা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিলামের পণ্য কেনা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মেরামত করতে আরেকবার যুদ্ধে অংশ নিতে হবে ৫৫ বছরে বাগদান সারলেন সোহেল তাজ, জানা গেল পাত্রীর পরিচয় পদ্মা সেতু দুর্নীতির মামলা পুনরায় তদন্তের সিদ্ধান্ত থার্টিফার্স্ট নাইটে বন্ধ থাকবে বার, করা যাবে না নাচ-গান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাড়িবহরে হামলা, আহত ২০ গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো শেখ মুজিব ও জাতীয় চার নেতার ম্যুরাল চব্বিশের অভ্যুত্থানে অন্যতম সহযোদ্ধা ছিল ছাত্রশিবির: সারজিস আলম বিপ্লব নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্র থেমে নেই: মঞ্জুরুল ইসলাম

শতকোটি টাকার সম্পদের পাহাড়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

প্রায় শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখোমুখি হয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জসিম উদ্দীন। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড শহরে দুটি ৬ তলা বাড়ি, ১০০ একরের বেশি জমি ও মার্কেটসহ বেশকিছু সম্পদের মালিকানা রয়েছে তার। যা তিনি নিজের নামে ছাড়াও স্ত্রী, ভাই ও শ্যালকের নামে গড়েছেন।

অথচ জাদুর কাঠি হাতে পাওয়া ওই কর্মকর্তার বাবা ছিলেন দিনমজুর। এই চাকরি করে শত কোটি টাকার মালিক কীভাবে হলেন। আলাদীনের আশ্চার্য প্রদীপের সন্ধান ছাড়া এতো সম্পদের মালিক হওয়া যায় না বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, জসিম উদ্দীন এক সময়ে কুমিল্লায় ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সে কারণে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত বছরের শেষের দিকে দুদকের কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে অনুসন্ধান শুরু করা হয়। সম্প্রতি অনুসন্ধান কর্মকর্তা পরিবর্তন করে সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান রুবেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 

অনুসন্ধান পর্যায়ে চট্টগ্রাম ও সীতাকুণ্ডের সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, ভূমি অফিস, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও সরকারি-বেসরকারি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। যা বর্তমানে যাচাই-বাছাই পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি অনুসন্ধান পর্যায়ে কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকার করেন।

অন্যদিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার উপপরিচালক জসিম উদ্দীনকে ফোন কিংবা মেসেজে বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তার কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, অত্যন্ত সাধারণ ঘর থেকে উঠে আসা একজন কর্মকর্তা কীভাবে এতো সম্পদের মালিক হয়েছেন, সেটাই আমাদের অনুসন্ধানের লক্ষ্য। নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে সম্পদের মালিকানা ও সম্পদ অর্জনের সময়টা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি এক সময়ে কুমিল্লায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সে হিসেবে এটা কুমিল্লা থেকে অনুসন্ধান চলছে। যতটুকু নথিপত্র পাওয়া গেছে, তাতে অবৈধ সম্পদের সত্যতা রয়েছে। তবে অভিযোগে যা বলা হয়েছে, তার সবটুকু সত্য নয়। অনুসন্ধান শেষে হলে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জসিম উদ্দীন সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা হলেও তার বাবার পরিচয় সন্দ্বীপ। তবে সম্পদের অভিযোগ মূলত সীতাকুণ্ডের সম্পদকে ঘিরেই। জসিম উদ্দিনের বাবা ছিল সামান্য দিনমজুর। তার শ্বশুর ছিলেন সরকারি ফায়ার সার্ভিসের একজন ফায়ার ম্যান।

তার বড় ভাই সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক। তার ছোট ভাই সরকারি ছোট পর্যায়ের চাকরি করে। রানা প্লাজার ঘটনার পর সরকারি কিছু নিয়ম গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানকে বেঁধে দেওয়ার পর থেকে জসিম এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মূলত অল্প সময়ের ব্যবধানে প্রচুর সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

চট্টগ্রামে সব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ফায়ার ফাইটিং লাইসেন্স দেওয়া ও নবায়ন এবং ফায়ার ফাইটিংয়ের সব ইকুইপমেন্ট নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে নিতে বাধ্য করানো তার অসৎ উপার্জনের প্রধান মাধ্যম হিসেবে তিনি ব্যবহার করেছেন।

তবে জসিম উদ্দীন নিজের নামে সম্পত্তি কম ক্রয় করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। তিনি প্রায় সব সম্পত্তি বউ, শালা, ভাইয়ের মেয়েসহ নিকট আত্মীয় স্বজনের নামে সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। অভিযোগে জসিম উদ্দীন একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকার মালিকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে- চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড স্টেশন কলেজ রোডে কালি মন্দিরের সামনে গড়ে ওঠা বদিউল আলম নিউ মার্কেট, সীতাকুণ্ডের মধ্যম মহাদেবপুরের (কলেজ রোড), ৬ তলা ভবন, জসিম নিজ নামে সীতাকুণ্ড মধ্যম মহাদেবপুর চৌধুরী পাড়া এলাকায় তার নির্মাণাধীন ৫ তলা ভবন।

অন্যদিকে স্ত্রী পারভীন আক্তারের নামে সীতাকুণ্ডের চৌধুরী পাড়ায় ৬ তলা ভবন, কলেজ রোডে এসপি মার্কেট, স্ত্রীর নামে ১০০০ শতাংশ জমি, অন্য জায়গায় ২ শতাংশ জমিসহ দোকান রয়েছে।

এছাড়া জসিম উদ্দীনের বড় ভাইয়ের নামে সীতাকুণ্ডে চৌধুরী পাড়ার পূর্ব পার্শ্বে খরিদকৃত প্রায় ২৪ শতাংশ জমি ও চট্টগ্রাম ইপিজেডের ভেতরে বড় ভাইয়ের ছেলের নামে একটি কারখানা রয়েছে। আর জসিম উদ্দীনের শ্যালক মো. সেলিমের নামে ৮০০ শতাংশ ও ৫০০ শতাংশ জমি এবং দুটি নোহা গাড়ি ও ২টি প্রাইভেট কারের মালিকানা রয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com