বাংলা৭১নিউজ, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালী বাউফলে ইমরান ব্যাপাীর নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে প্রকাশ্যে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। এমরান ব্যাপারী সূর্যমনি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। ছাত্রলীগ নেতা ইমরান অভিযোগ করে বলেন, তার ভাই সাগর এ বছর শহরের ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। ঘটনার দিন পরীক্ষা শেষে তার ভাই সাগরকে গোলবাড়ী থেকে একটি অটোরিক্সায় তুলে নুরাইনপুর গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
এরপর তিনি একটি দোকানে ডুকে চা পান করছিলেন। এ সময় মেহেদী জোমাদ্দার নামের এক যুবক এসে তার পাশে বসেন এবং মোবাইল ফোনে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি (মেয়র জুয়েল গ্রুপ) সাইদুর রহমান হাসানকে ডেকে আনেন। এরপর তাকে একটি মটরবাইকের মধ্যে বসিয়ে বাউফল পৌরসভার মেয়র ও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক জুয়েলেরে মুসলিমপাড়াস্থ দোতালা বাসভবনের নিচতলার একটি রুমে নিয়ে যান। সেখানে তাকে লোহার রড ও লাকড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে জখম করেন। প্রায় ১০ মিনিট ধরে তার উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাত চালানো হয়।
এতে তার মাথা, বাম হাত ও বাম পাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গা গুরুতর জখম হয়। নির্যাতনের একপর্যায়ে হাসান তাকে দিয়ে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ ও বাউফলের এমপি আসম ফিরোজের পুত্র জেলা আওয়ামী লীগের ত্রান বিষয়ক সম্পাদক রায়হান সাকিবকে ফোন দিতে বাধ্য করেন। রায়হান সাকিব জানান, তিনি মোবাইল রিসিভ করেই প্রচন্ড কান্না ও ডাকচিৎকারের শদ্ধ শুনতে পান এবং নির্যাতনকারীদের মধ্যে যে কোন একজন তাকে উদ্দেশ্য করে বলছে, সাকিব আমরা ইমরানকে মারছি তুই তার শদ্ধ শোন। এ ঘটনার পর ছাত্রলীগ নেতা ইমরানকে কোন চিকিৎসা ছাড়াই বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এ খবর পেয়ে বাউফল থানার অফিসার ইসচার্জ (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান হাসান বলেন, এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। আমার ভাবমূর্তী বিনষ্ট করতে একটি মহ অপপ্রচার চালাচ্ছেন। ঘটনার সময় আমি বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম।
এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কমীরা আজ বিকেলে পৌরশহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস